Suvendu Adhikari: `RBI যেন রাজ্যকে ঋণ না দেয়`, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর কাছে আর্জি শুভেন্দুর
`ঋণ নেওয়ার উর্ধ্বসীমা পেরিয়ে গিয়েছে`, রাজ্যের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক টুইট করলেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দুর বিরুদ্ধে `রাজ্যকে বদনাম` করার পালটা অভিযোগ ফিরহাদ হাকিমের।
মৌমিতা চক্রবর্তী: 'RBI যেন রাজ্যকে ঋণ না দেয়'! কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণের কাছে আর্জি জানালেন শুভেন্দু অধিকারী। কেন? বিরোধী দলনেতার বিস্ফোরক টুইট, 'রাজ্যের ৬ লক্ষ কোটি টাকা দেনা রয়েছে। ঋণ নেওয়ার উর্ধ্বসীমা পেরিয়ে গিয়েছে'। 'রাজ্যকে বদনাম করতে চাইছে না', প্রতিক্রিয়া মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের।
১০০ দিনের কাজ-সহ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের অনুদান বন্ধ। রাজ্য়ের বরাদ্দ টাকা চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে একাধিক চিঠি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীও। চুপ করে বসে নেই কেন্দ্রও। পুজোর মধ্যে নবান্নে রাজ্যে মুখ্যসচিবকে পালটা চিঠি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় গ্রামোয়ন্ননমন্ত্রকের সচিবও। চিঠিতে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, 'রাজ্যের কেন্দ্রীয় সরকার অনুদানে যে প্রকল্পগুলির চলছে, সেই প্রকল্পগুলির নাম পরিবরর্তন করতে হবে। কেন্দ্রের নামই ব্যবহার করতে হবে। কেন্দ্রের নাম ব্যবহার না করলে টাকা দেওয়া যাবে না'।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, 'RBI-র কাছে ১০ হাজার কোটি টাকা ঋণ চেয়ে ফাইল পাঠিয়েছে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের দেউলিয়া সরকার। ফাইল নর্থব্লকে আটকে আছে। যদি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী এই টাকা অনুমোদন করেন, তাহলে বেতন হবে। যদি অনুমোদন না করেন, তাহলে বেতন বন্ধ হতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গে'। শুধু তাই নয়, টুইট করে এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তিনি।
কী প্রতিক্রিয়া তৃণমূলের? মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, এটা বিরোধী দলনেতা কাজ নয়। রাজ্যটা আমাদের সবার। জানি না, এই ফিগারগুলি কোথা থেকে পাচ্ছেন? যতদূর জানি, ফিগারগুলি ঠিক নয়। এই ফিগারগুলির কোনও ভিত্তি নেই। রাজ্যকে বদনাম করতে চাইছেন'। শুভেন্দুকে 'বাংলা ও বাঙালি বিদ্বেষী' বলে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। তাঁর কটাক্ষ, 'এতই যখন বুঝে গিয়েছেন, টিয়া পাখি নিয়ে বসে পড়ুন। ভালো ব্যবসা হবে'।
আরও পড়ুন: সশরীরে আদালতে নেই পার্থ, স্থগিত শুনানি; ক্ষুব্ধ বিচারপতি জানালেন নতুন তারিখ
এদিকে পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্য়ে ঘুরে গিয়েছে ১৫টি কেন্দ্রীয় দল। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীকে রিপোর্ট দিয়েছেন কেন্দ্রীয় দলের সদস্যরা। রিপোর্টে বাংলা আবাস যোজনা গরমিল ও আর্থিক বেনিয়মের অভিযোগ করা হয়েছে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে পঞ্চায়েত দফতরকে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এফআইআর করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় গ্রামোয়ন্নন মন্ত্রক। এমনকী, 'পঞ্চায়েতে চোর ধর, এফআইআর কর', জেলা প্রশাসনকে কড়া চিঠি দিয়েছেন মুখ্য়মন্ত্রীও। ঙ্গে দুর্নীতি বা তছরুপ হলে, টাকা উদ্ধারের নির্দেশও।