মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য: নবান্ন অভিযানে আটক হওয়ার আগে এক মহিলা কনস্টেবলকে শুভেন্দু অধিকারী সরাসরি বলে দেন, ডোন্ট টাচ মাই বডি। বিরোধী দলনেতার ওই মন্তব্যের পর তাঁকে পাল্টা নিশানা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। এসএসকেএম হাসপাতালে আহত এক পুলিস কর্মীকে দেখতে এসে শুভেন্দু সম্পর্কে অভিষেক বলেন, বিজেপি বলে মহিলাদের আমরা মা দূর্গা বলে মনে করি। তাহলে শুভেন্দুর মহিলা পুলিসে আপত্তি কিসের? এখানেই শেষ নয়, তিনি তাঁকে পুরুষ পছন্দ করা নেতা বলেও অভিহিত করেন। এর পাল্টা হিসেবে রবিবার অভিষেকের পিতৃ পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তোলেন শুভেন্দু। এনিয়ে এবার সরব হল তৃণমূল কংগ্রেস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-হাওড়া ময়দানে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, জি টি রোডে ভয়াবহ যান চলাচল


সোমবার শুভেন্দুকে নিশান করে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন শশী পাঁজা ও কুণাল ঘোষ। সেখানে শশী পাঁজা বলেন, কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছেন, শুভেন্দু অধিকারী? আমি একজন মা হিসেবে দাঁড়িয়েছি। আর কদিন বাদে দুর্গাঠাকুর আসছেন। একজন মাকে অপমান করা হচ্ছে। বংশপরিচয়, পিতৃপরিচয় নিয়ে একজনকে অপমান করছেন শুভেন্দু অধিকারী। একজন মা হিসেবে, তৃণমূলের কর্মী হিসেবে আমরা অপমানিত,ক্ষুব্ধ। এটা রাজনীতি নয়। একটা শিষ্টাচার থাকে। আমি কি ধরে নেব, যিনি এটা বলেছেন তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্থ? তাহলে চিকিৎসক হিসেবে বলব ডাক্তারি চিকিৎসা আছে। কিন্তু, যদি আমি বলি পাবলিক সার্ভিস করতে এসেছি, তাহলে রাজনীতিতে কারও সঙ্গে ভিন্নমত থাকতেই পারে। রাজনীতিটাকে এত নীচে নামাবেন না। রাজনীতি ছেড়ে চলে যান। 


অন্যদিকে, শুভেন্দু  অভিষেককে আক্রমণ নিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, রাজনীতিতে আক্রমণ, প্রতি আক্রমণ থাকবে। কিন্তু ২০২১ এর ঠিক আগে যেসব দলবদলুরা দল বদল করেছিলেন তার মধ্যে একজন যিনি তৃণমূল সবচেয়ে বেশি ক্ষমতায় ছিলেন তিনিই ব্যক্তি আক্রমণ, কুত্সা শুরু করলেন এবং বিজেপির মঞ্চকে ব্যক্তিগত মঞ্চে পরিণত করলেন। একসময় ওরা অভিষেক, অভিষেক বলতে শুরু করলেন। আমাদের থেকে বয়সে অনেক ছোট। একটি ছেলেকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে না পেরে একজনের পিতৃপরিচয় তুলে এক নিম্নরুচির মন্তব্য করা হচ্ছে। এটা বিজেপির পক্ষেই সম্ভব। অভিষেকের দোষ কী? তার দোষ হল সে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো। ডাক্তারের ছেলে ডাক্তার হলে সেটা দোষের? অভিষেকের বিরুদ্ধে কে বলছে? সেও তো সেই অধিকারী পরিবার থেকে এসেছে। যে বলছে তার থেকে ১৫ বছরের ছোট অভিষেক। তাতেই তার পা কাঁপছে। পনের বছর পর তাকে দেখলে কী করবে? কারও বাবা তুলে কথা বলা কি লকেট চট্টোপাধ্যায় সমর্থন করেন? ব্যক্তিগত আক্রমণের রসদ আমাদের কাছেও কম কিছু নেই। বারবার বলছি এসব করবেন না। সব সময় ইস্যু থেকে সরিয়ে এসে গায়ে কাদা ছেটানোর চেষ্টা! অভিষেকের বাবা-মাকে আমরা কেউ চিনি না? বিজেপি যত ব্যর্থ হচ্ছে ততই তাদের দেউলিয়াপনা প্রকাশ পেয়ে যাচ্ছে। 


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)