COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ওয়েব ডেস্ক: ফের কলকাতা হাইকোর্টের তোপে রাজ্যে সিন্ডিকেটরাজ। সিন্ডিকেট কারবারিরা রেয়াত করছে না বিচারবিভাগীয় প্রকল্পকেও। এমন চললে সাধারণ মানুষ কোথায় যাবে? আজ এমনই মন্তব্য করেছেন ক্ষুব্ধ বিচারপতির দীপঙ্কর দত্ত।


কখনও রাজারহাট নিউটাউন। কখনও বা আসানসোল। সিন্ডিকেটের দাদাগিরি নিয়ে  প্রায় রোজই উঠছে ভুরি ভুরি অভিযোগ। সিন্ডিকেট নিয়ে শাসক দলের দুই গোষ্ঠী, খণ্ডযুদ্ধ-খুনোখুনিতে উত্তপ্ত হয়েছে রাজারহাট নিউটাউন। সরাকারি প্রল্পকেও রেয়াত করেনি সিন্ডিকেট কারবারিরা। একই ছবি আসানসোলেও।


মহেশতলায় আবাসন তৈরি করতে গিয়ে সিন্ডিকেটের কোপে পড়েন হাওড়ার মহম্মদ ইসমাইল। একাধিকবার পুলিসের দ্বারস্থ হন ওই ব্যবসায়ী। হাইকোর্টে সেই মামলার শুনানিতেই সিন্ডিকেটের অস্তিত্ব কার্যত অস্বীকার করেন  সরকারি আইনজীবী। ক্ষোভ চেপে রাখতে পারেনি বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত।


গত বছর সিন্ডিকেটের বাধার মুখে পড়ে খোদ জুডিশিয়ারি অ্যাকাডেমির কাজ। সেই সময় পুলিস কমিশনারকে ডেকে সমস্যার সমাধান করেন বিচারপতি দত্ত।


সোমবার শুনানিতে আসানসোলে কোর্টের কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গটিও উল্লেখ করেন তিনি।বিচারপতি দত্ত বলেন, 'রাজ্যের সর্বত্র সিন্ডিকেট সমস্যা চলছে। এরা সরকারি প্রকল্পকেও ছাড় দিচ্ছে না। রেয়াত করা হচ্ছে না বিচারবিভাগকেও। বিচার বিভাগের দুটি প্রকল্প চলছে আসানসোল আর সল্টলেকে। সেখানে গিয়েও সরকারি ঠিকাদারকে ধমকাচ্ছে। ক্ষুব্ধ বিচারপতির প্রশ্ন এমনটা চলতে থাকলে, "সাধারণ মানুষ কোথায় যাবেন?"