নিজস্ব প্রতিবেদন: মাঝেরহাট সেতুর মতো যে কোনও সময় ভেঙে পড়তে পারে টালা ব্রিজও। বুধবার সেতু পর্যবেক্ষণের পর এমনটাই জানালেন ইঞ্জিনিয়াররা। তাঁরা জানিয়েছেন, টালা ব্রিজের ভিতরে বিভিন্ন প্রকোষ্ঠে জমে রয়েছে জল। যার জেরে এই সেতুর সংস্কার সম্ভব নয়। ফলে টালা ব্রিজ ভেঙে ফেলে নতুন গড়া ছাড়া গতি নেই। সেক্ষেত্রে কোন পথ দিয়ে যানবাহন চালানো হবে তা ঠিক নিয়ে ভাবতে বসেছে প্রশাসন। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বৃহস্পতিবার নবান্নে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে টালা ব্রিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে চূড়ান্ত ফয়সলা করবেন প্রশাসনিক কর্তারা। তার আগে বুধবার দুপুরে সেতু সরেজমিনে পরিদর্শন করেন রেল, রাইটস ও গার্ডেনরিচ জাহাজ কারখানার ইঞ্জিনিয়াররা। 


কী হয়েছে টালা সেতুর?


পরিদর্শনের পর ইঞ্জিনিয়াররা জানিয়েছেন, টালা ব্রিজের যা অবস্থা তাতে তার মেরামতি প্রায় অসম্ভব। এক কথায় বললে সেতুর বুকে জল জমেছে। ব্রিজের র্যাম্পে ফাটল দিয়ে ঢুকেছে জল। সেই জল লোহার সংস্পর্শে আসায় লোহায় মরচে ধরেছে। যার ফলে ফাটল ধরছে কংক্রিটে। কংক্রিট থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে লোহার রড। সঙ্গে জল ঢোকায় সেতুর ভারও বেড়েছে। দ্বিবিধ বিপত্তিতে ভারবহন ক্ষমতা কমেছে এই সেতুর।


 



কেন সংস্কার সম্ভব নয়?


ইঞ্জিনিয়াররা জানিয়েছেন, টালা সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার সময় বিভিন্ন জায়গায় গর্ত করতেই ঝরঝর করে পড়েছে জল। এই জল যে সেতুতে কী ভাবে ঢুকল তা জানা নেই ইঞ্জিনিয়ারদের। ফলে জল কোথায় কোথায় জমে রয়েছে তাও জানা সম্ভব নয়। বহু পুরনো এই সেতুর নকসা ও অন্যান্য নথিও অমিল। তাই সম্ভব নয় মেরামতিও। 


তাহলে উপায়?


বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, টালা ব্রিজ ভেঙে নতুন সেতু তৈরির পক্ষেই সরকারকে সুপারিশ করবেন তাঁরা। কিন্তু টালা ব্রিড ভাঙলে বিটি রোড উত্তর শহরতলিতে যান চলাচল করবে কী ভাবে তা নিয়ে শুরু হয়েছে চিন্তা-ভাবনা। কারণ নতুন সেতু তৈরি করতে লাগবে অন্তত ৩ বছর।



বিকল্প রাস্তার সন্ধান


টালা ব্রিজ ভাঙলে লকগেট রোড দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হতে পারে গাড়ি। তবে সেক্ষেত্রে লকগেট রোডের ওপর যে সেতু রয়েছে তার ভারবহন ক্ষমতার সীমা বাধা হতে পারে। সেজন্য বর্তমান সেতুর পাশ দিয়ে তৈরি হবে লেভেল ক্রসিং। লেভেল ক্রসিং তৈরির পরই ভাঙা হবে পুরনো সেতু।


টালা ব্রিজ ভাঙলে যে উত্তর শহরতলির নিত্যযাত্রীদের ভোগান্তি বাড়বে, বলা বাহুল্য। একই সঙ্গে প্রশ্ন উঠছে, কেন উপযুক্ত রক্ষণাবেক্ষণ হল না গুরুত্বপূর্ণ এই সেতুর? রেল ও পূর্ত দফতরের দড়ি টানাটানির জেরে আর কতদিন প্রাণ হাতে যাতায়াত করতে হবে সাধারণ মানুষকে?