প্রবীর চক্রবর্তী: বিবাদ এবার প্রকাশ্যে! বিজেপির উত্তর কলকাতা জেলা সভাপতি পদে তমোঘ্ন ঘোষ। 'তমোঘ্নকে মমতার কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন সুদীপ বন্দ্য়োপাধ্যায়', ফের বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়। বললেন, 'অনেকেই একাধিক দলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন। দলনেত্রীকে ব্যক্তিস্বার্থে ব্য়বহার করেন'।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

একজন সাংসদ, আর একজন বিধায়ক। কিন্তু সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাপস রায়ের সম্পর্ক মধুর নয় একেবারেই! বরং দু'জনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই সংঘাত চলছে বলে খবর। বিজেপির উত্তর কলকাতা জেলা সভাপতি রদবদলের পর সেই সংঘাতই কি এবার প্রকাশ্যে চলে এল? কল্যাণ চৌবের জায়গায় বিজেপির উত্তর কলকাতা জেলা সভাপতি হয়েছেন তমোঘ্ন ঘোষকে। তাপস রায়ের বিস্ফোরক অভিয়োগ,  'তমোঘ্নের বাবা তপন ঘোষ সুদীপ বন্দ্য়োপাধ্যায় সচিব। তমোঘ্নকে মমতার কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন সুদীপ।টিএমসিপির সভাপতি করার কথা বলেছিলেন। দুর্গাপুজোর সময়ে তমোঘ্নের বাড়িতে যান সুদীপ,শুভেন্দু ও কল্যাণ চৌবে'। তৃণমূল বিধায়কের আরও  বক্তব্য, 'কে কার ব্যক্তিস্বার্থে কী করছে, জানি না। অনেকেই একাধিক দলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন। দলনেত্রীকে ব্যক্তিস্বার্থে ব্য়বহার করেন'। 


আরও পড়ুন: Cattle Smuggling Case: 'কলকাতা আদালত কি পোস্ট অফিস!' সায়গল হোসেন মামলায় কটাক্ষ কোর্টের


তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়ের অভিযোগকে অবশ্য আমল দিতে নারাজ বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, 'এটা তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক টানাপোড়েনের সমীকরণ। বিজেপি নিজস্ব নীতিতে চলে। ব্যক্তি প্রভাবের রাজনীতির কোনও জায়গা নেই'। সূত্রের খবর, কল্যাণ চৌবের বদলে বিজেপির উত্তর কলকাতা জেলা সভাপতি হওয়ার কথা ছিল কাউন্সিলর সজল ঘোষের। কিন্তু অষ্টমীর দিন উত্তর কলকাতার এই শীর্ষ স্থানীয় বিজেপি নেতার বাড়িতে যান তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর তমোঘ্ন ঘোষের নাম চূড়ান্ত হয়।


এদিকে কয়েক মাস আবার তৃণমূল ছাড়ার জল্পনা উসকে দিয়েছিলেন তাপস রায়। ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল ভিডিয়ো। যে ভিডিয়োতে বরানগরের বিধায়ককে বলতে শোনা গিয়েছিল, 'কতদিন দলে থাকব তা দলকে জানিয়েই দেব।  আমাকে ধরে রাখা কঠিন। তবে দলকে জানানো উচিত। দলকে জানিয়ে দেব'। বঙ্গ রাজনীতিতে একসময়ে সোমেন মিত্রের অনুগামী হিসেবে পরিচিত ছিলেন।  এরপর কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন তাপস রায়। বরানগর কেন্দ্রে তিনবারের বিধায়ক তিনি। কিন্তু এবার বিধানসভা নির্বাচনে জেতার পরেও মন্ত্রিসভায় জায়গা পাননি।