Tapas Roy: `যোগ্যতায় আমার ধারে কাছে নেই, তাঁরা অনেকেই মন্ত্রী`, বিস্ফোরক তাপস রায়
`সচিন-ধোনিরা অবসর নিলে আমি কেন পারব না`?, এখনও `অভিমানী` মদন মিত্র।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: 'মন্ত্রিসভায় আমার স্থান হয়নি। যোগ্যতায় আমার ধারে কাছে নেই, তাঁরা অনেকেই মন্ত্রী'। ফের বিস্ফোরক তাপস রায়। বললেন, 'অনেক ক্ষেত্রেই বাধ্যবাধকতা থাকে। তবে সেই বাধ্যবাধকতা বেশি হয়ে গেলেই বিপদ'।
বঙ্গ রাজনীতিতে একসময়ে সোমেন মিত্রের অনুগামী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। এরপর কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন তাপস রায়। বরানগর কেন্দ্রে তিনবারের বিধায়ক তিনি।
এদিকে একুশে বিধানসভা নির্বাচনে জেতার পরেও মন্ত্রীসভায় স্থান পাননি তাপস। তিনি বলেন, '১৩ বছরে আড়াই বছর মন্ত্রী ছিলাম, তার আগে ছিলাম না, পরেও নই। দেখেছেন কখনও সিনসিয়ারিটির অভাব? সিরিয়াসনেসের অভাব? শ্রমের অভাব? সময় দেওয়ার অভাব? সবকিছুতেই একটা ভারসাম্য রাখতে হয়। উলুবনে মুক্ত ছড়িয়ে চলেছি'।
আরও পড়ুন: অভিষেককে সিবিআই-এর জিজ্ঞাসাবাদ প্রশ্নে মেজাজ হারালেন পার্থ! ফুঁসে উঠে বললেন...
এর আগেও, নিজের দলেরই একাংশ বিরুদ্ধে ক্ষোভে উগরে দিয়েছিলেন বরানগরের তৃণমূল বিধায়ক। উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহের কর্মীসভায় তাপস বলেছিলেন, 'অন্য দলের বদমাইশগুলো নিজের মাটি শক্ত করার জন্য আমাদের দলে ঢুকে পড়েছে। অন্য দল থেকে আমাদের দলে ঢুকে পড়া আমরা আটকাতে পারিনি, এটাই আমাদের ভুল’।
বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ, 'তৃণমূলে এখন মুষলপর্ব চলছে। পুরনোদের সরিয়ে দিয়ে নতুনদের আনা হচ্ছে। সেটাই বোধহয় জনজোয়ার। এর আগেও তাপসবাবু বলেছেন। আরও অনেকে বলেছেন। পুরনো অস্তিত্বের সংকটে পড়ে গিয়েছেন'।
আরও পড়ুন: Kaliaganj Firing: কালিয়াগঞ্জে গুলিতে নিহত মৃত্যুঞ্জয় বর্মন, স্ত্রীকে চাকরি দিলেন শুভেন্দু
এদিকে এখনও 'অভিমানী' মদন মিত্র। এদিন তিনি বলেন, 'ব্যাকডেটেড হয়ে পড়ছি। বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিলে, মোটামুটি আমার যা যোগাযোগ আছে, ২০-৫০ হাজার টাকা আমার টিউশন করে চলে যাবে। ছোটদের পড়াতে চাই, নিজে পড়তে চাই'। তাঁর প্রশ্ন, 'সচিন-ধোনিরা অবসর নিলে আমি কেন পারব না'।