নিজস্ব প্রতিবেদন: একুশের নির্বাচনে টার্গেট অডিয়েন্স জেন-ওয়াই। ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই কতটা সফল হবে তা এখনই স্পষ্ট নয়, তবে ভোটের ময়দানে সংস্কৃতির বিবর্তনকে হাতিয়ার করতে চাইছে বামেরা। ইভিএমে ফল পেতে জনসংযোগে সেই ছয়-সাতের দশকে ধাঁচেই ময়দানে নেমেছে বাম-কংগ্রেস-আব্বাসের জোট। এর আগে বামেদের 'টুম্পা' গান রীতিমতো বাংলার অলিগলি দাপিয়েছে। এমন 'ভাসান গান'-এর প্যারোডিই হয়ে উঠেছে বাম ব্রিগেডের প্রচার-মন্ত্র। ভাইরাল প্যারোডির সঙ্গে এবার প্রচারের নবতম সংযোজন ‘ফ্ল্যাশ মব’।



COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

৩৪ বছরের হারানো ভোট ফেরাতে মরিয়া বাম। এবার প্রচারে তাই বিন্দুমাত্র ফাঁক রাখতে নারাজ দল। মাস্কের মাধ্যমেও ব্রিগেডের প্রচার করেছে বামেরা। এরপর 'ফ্ল্যাশ মব' নিয়ে প্রচারে নামলেন তরুণ-তরুণি।


কী এই ফ্ল্যাশ মব? সাধারণের ভিড়েই পূর্বনির্দিষ্ট পারফরম্যান্স করে দেখাবে এক ঝাঁক তরুণ-তুর্কি। দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এই পন্থা প্রথম চালু হয়েছিল বিদেশে। গত এক দশক ধরে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তেও যা প্রচারের অন্যতম হাতিয়ার। সেই দল থেকে বাদ গেল না বামপন্থিরাও।


কখনও দক্ষিণে কলকাতার সাউথ সিটি মল, কখনও হাইকোর্টের সামনের রাস্তা, কখনও আবার নিউমার্কেট চত্বর। 'ফ্ল্যাশ মব' করতে দেখা গিয়েছে বাম সংস্কৃতি কর্মীদের। প্রকাশ্যে এসেছে 'ফ্ল্যাশ মব' প্রস্তুতির ভিডিয়োও। অর্ক মুখোপাধ্যায়ের গান আর জয়রাজ ভট্টাচার্যের ডিরেকশনে একঝাঁক তরুণ প্রচারে ফের পথে নেমেছে ব্রিগেডের আগে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন সূর্যকান্ত মিশ্র, মহম্মদ সেলিমরা। সবমিলিয়ে জনসংযোগে তাই পুরনো ফর্মেই ফিরতে চাইছে CPM.



নীতি, আদর্শ, অনুশাসনের বাঁধনের কথা মাথায় রেখেও শ্রেণি সংগ্রামে শ্রেণির পছন্দেও নজর দিয়েছে বামেরা। তাই আনুষ্ঠানিকভাবে টুম্পা না বাজানো হলেও সুপারহিট 'টুম্পা সোনা।' আপাত গম্ভীর কমরেড থেকে খেটে খাওয়া 'সাব অ্যাল্টার্ন' শ্রেণির ফোনেও টুম্পা সোনা বাজছে। একই সঙ্গে নজরে নতুন প্রজন্মও। তাই 'টুম্পা' গানের পাশাপাশি শহরবাসীর মন কেড়েছে 'ফ্ল্যাশ মব'ও।