কমলিকা সেনগুপ্ত 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

একুশের যুদ্ধের প্রস্তুতি এখন থেকেই শুরু করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্বাচনী রণনীতিকার হিসেবে প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে তাঁর পাকা কথা সারা। জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহেই কলকাতায় এসে পৌঁছবে প্রশান্তের দলবল। তারপর চলবে নির্বাচনী রণনীতি তৈরির মহাযুদ্ধ।


নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরে শুরু হয়েছিল প্রশান্ত কিশোরের জীবনপথ। সেই সূত্রে ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটের পর নামযশ করে ফেলেছিলেন প্রশান্ত। সেই প্রশান্তকে বিহারে নিয়ে এসে মোদী ঝড় রুখে দিয়েছিলেন নীতীশ কুমার। সদ্য অন্ধ্রপ্রদেশে জগন্মোহন রেড্ডিকে জিতিয়ে এসেছেন। সেই প্রশান্তই এবার তৃণমূলের হয়ে নামবেন বাংলার মাঠেঘাটে। নবান্নে বৃহস্পতিবার ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট করে বৈঠক চলে মমতা ও প্রশান্তের। দুজনের মধ্যে পাকা কথা সারা। জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে কলকাতায় এসে পৌঁছবে প্রশান্তের সংস্থা আই-প্যাক। 



তারপর গোটা বাংলা চষে বেড়িয়ে মতামত সংগ্রহ করবে আই-প্যাক। লোকসভা ভোটে কেন তৃণমূলের ফল খারাপ হল, তার তথ্য সংগ্রহ করবেন প্রশান্তের লোকজন। যেমন- তৃণমূলকে নিয়ে সাধারণ মানুষ কী ভাবছে? কী কারণে তাঁরা অসন্তুষ্ট? ধর্মীয় মেরুকরণ কোথায় কোথায় কীভাবে হয়েছে? বাম ভোট কেন বিজেপিতে চলে গেল? সরকারের উন্নয়নের সুফল মানুষ কীভাবে পাচ্ছেন? কারা পাচ্ছেন না? ইত্যাদি। 


তথ্য সংগ্রহের পর সরকারি উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলি জনমানসে পৌঁছনোর জন্য ব্র্যান্ডিং করবে প্রশান্তের দল। ধর্মীয় মেরুকরণ মোকাবিলায় তৈরি হবে রণনীতি। বাম ভোটাররা যাতে বিজেপিকে ভোট না দেন, সেই লক্ষ্যেও তৈরি হবে নতুন কৌশল। শুধু তাই নয়, তৃণমূলের নতুন ভোট প্রচারের পরিকল্পনাও করে দেবেন প্রশান্ত কিশোর। ঠিক যেভাবে ২০১৪ সালে তাঁর মস্তিষ্কপ্রসূত 'চায়ে পে চর্চা' ছেয়ে গিয়েছিল গোটা দেশে। সবমিলিয়ে একুশের আগে বিজেপিকে রুখতে একেবারে অঙ্ক কষে রণনীতি।       


তবে মমতার সঙ্গে প্রশান্তের বৈঠক নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে জেডিইউ-র অন্দরে। জেডিইউ-র মুখপাত্র অজয় অলোক জানিয়েছেন, মমতা-প্রশান্ত বৈঠকের ব্যাপারে তাঁরা সম্পূর্ণ অন্ধকারে। জেডিইউ-র সহ-সভাপতি প্রশান্ত কিশোর। দলের সভাপতির কাছে তাঁকে অনুমতি নিতে হবে। কিন্তু আই-প্যাকের ক্ষেত্রে সেই নিয়ম খাটবে না বলেই যুক্তি দিচ্ছেন অনেকে। কারণ আই-প্যাক প্রশান্তের সংস্থা হলেও তাঁর সঙ্গে জেডিইউ-র কোনও যোগ নেই। 


আরও পড়ুন- নিজেকে বাঙাল বলছেন অঞ্জু, শংসাপত্র বলছে, কলকাতায় জন্ম, জন্ম তারিখও ভিন্ন