ওয়েব ডেস্ক: নাকতলার ডাকাতিতে প্রশ্নে পুলিস। সময়ে খবর পেয়েও কেন বমাল সমেত ধরা গেল না দুষ্কৃতীদের? ঢিলেমি নাকি ব্যবস্থারই ত্রুটি? উঠছে প্রশ্ন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মঙ্গলবার সন্ধে সাড়ে সাতটা। নাকতলা শিবমন্দিরের কাছে ডাক্তার রণবীর সিনহার বাড়িতে হানা দেয় চার সশস্ত্র দুষ্কৃতী। আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে চলে লুঠপাট। বাথরুমে বন্ধ করে দেওয়া হয় চিকিত্‍সক ও তাঁর শ্বশুর শাশুড়িকে। সমান্তরালভাবে খবর যায় লালবাজারের কন্ট্রোলরুমে। এক প্রতিবেশি ফোন করেন পুলিস কন্ট্রোলে। পুলিস কন্ট্রোল থেকে খবর পাঠানো হয় রিজেন্ট পার্ক, বাঁশদ্রোণী ও নেতাজিনগর থানায়।


এই ফোনের সময় নিয়ে সামান্য বিতর্ক রয়েছে। পুলিসের দাবি, ফোন গিয়েছিল ডাকাতি শেষ হওয়ার পরে। পুলিসেরই অন্য অংশের দাবি, কন্ট্রোল রুমে যে ফোন এসেছিল তাতে বলা হয় নাকতলায় ডাকাতি চলছে। বিতর্ক যাই হোক, বাস্তব হচ্ছে ডাকাতরা নির্বিঘ্নে এলাকা ছাড়ার বেশ কিছুক্ষণ পরে সেখানে পৌছয় পুলিস।


কেন দেরি? পুলিসের একাংশ থেকে উঠে আসছে মারাত্মক অভিযোগ। নাকতলা শিবমন্দির কোন থানার এলাকায় পড়বে? কন্ট্রোল রুমের ফোন পেয়ে প্রথমে তা স্থির করতে পারেনি তিন থানা। মিনিট পনেরো পরে নেতাজি নগর থানার পুলিস ঘটনাস্থলে রওনা হয়। এই পনেরো মিনিটের সুযোগেই ডাকাতরা পালায়। পুলিসের একাংশই বলছে, নাকতলা শিবমন্দির যে তাদের এলাকায় তা নেতাজি নগর থানার জানা উচিত ছিল। কন্ট্রোল রুমের ফোন পেয়েই ঘটনাস্থলে গেলে ডাকাতদের বমাল ধরা যেত। কন্ট্রোল রুমের ফোনের পর এলাকায় নাকাবন্দি করতে পালানোর পথ পেত না ডাকাতরা।


সংবাদ মাধ্যম বা সাধারণ মানুষ নয়। পুলিসের একাংশ থেকেই এই ত্রুটির কথা উঠে আসছে। প্রশ্ন উঠছে, পুলিসের রামধনূ দশা কি কোনওভাবেই কাটবে না? আর এভাবেই খুলে আম ডাকাতি সেরে সকলের চোখের সামনে দিয়ে উধাও হয়ে যাবে ডাকাতরা।