ওয়েব ডেস্ক : টেট মামলায় অন্ধকারে প্রশিক্ষণহীনদের ভবিষ্যত্‍। রাজ্য সরকার এবার হাইকোর্টে জানিয়ে দিল, নিয়োগে অগ্রাধিকার পাবেন প্রশিক্ষিতরাই। প্রশিক্ষিতদের নিয়োগের পর শূন্য পদ থাকলে, তবেই বিবেচনায় আসবে প্রশিক্ষণহীনদের কথা। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণহীন, দুয়ের মাঝেই যত জট-জটিলতা। মাঝে ফেঁসে বহু পরীক্ষার্থীর ভবিষ্যত্‍। বারবার চক্কর আদালতের।
    
বৃহস্পতিবার বিচারপতি সি এস কারনানের এজলাসে শুনানিতে অতিরিক্ত অ্যাডভোকেট জেনারেল জানিয়ে দেন, "প্রশিক্ষণহীনদের পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হলেও, প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদেরই অগ্রাধিকার দেবে রাজ্য। যদি দেখা যায় শূন্যপদ ভরে যাচ্ছে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের দিয়েই, তাহলে আর একজনও প্রশিক্ষণহীনকে নিয়োগ করা হবে না।"


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- রাজ্যের নাম পরিবর্তন নিয়ে আজ সর্বদল বৈঠক


প্রশিক্ষণহীনদের ভবিষ্যত যে অন্ধকারে চলে গেল, তা রাজ্যের এদিনের বক্তব্যে পরিস্কার। টেট নিয়ে টানাপোড়েন অবশ্য আজকের নয়, বহুদিনের। ৩১ মার্চ, ২০১৫-র পর প্রাথমিকে টেট পরীক্ষায় বসতে পারবেন না প্রশিক্ষণহীনরা। কেন্দ্রের এই নির্দেশের প্রেক্ষিতে ওইসময় রাজ্যের জবাব ছিল, রাজ্যে যথেষ্ট প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রার্থী নেই। তাই  প্রশিক্ষণহীনদের পরীক্ষায় বসার সুযোগ দিতে হবে।


সেই শুরু দড়ি টানাটানি। রাজ্যের অনুরোধ মেনে প্রাথমিকে প্রশিক্ষণহীনদের নিয়োগের সময়সীমা এক বছর বাড়ায় কেন্দ্র। মেয়াদ এবছর একত্রিশে মার্চ শেষ হয়ে  গিয়েছে। সময়সীমা বাড়ানোর জন্য কেন্দ্রকে আবারও অনুরোধ করেছে রাজ্য। এরপরই সরকারের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা করেন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রার্থীরা। তাঁদের বক্তব্য, লক্ষাধিক পরীক্ষার্থী প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় বসেন। তাঁদের মধ্যে প্রায় ৭০ হাজার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রার্থী রয়েছেন। যা শূন্যপদের তুলনায় অনেকটাই বেশি।


এর আগে প্রাইমারি টেট নিয়ে হাইকোর্টে বারবারই তিরস্কারের মুখে পড়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্যে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রার্থী থাকলেও সরকার কেন প্রশিক্ষণহীনদের নিয়োগ করতে চাইছে? এই প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি কারনান। রাজ্য সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল তথ্য দিয়ে কেন্দ্রকে বিভ্রান্ত করছে কিনা সে প্রশ্নও তোলেন তিনি। মামলার পরবর্তী শুনানি ২৬ অগাস্ট।