বিক্রম দাস ও মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য: টেট প্রার্থীদের বিক্ষোভে তোলপাড় রবীন্দ্রসদন এলাকার এক্সাইড চত্বর। কয়েকশো চাকরিপ্রার্থীকে রাস্তা থেকে তুলতে গিয়ে তাদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়ে পুলিস। গোলমালের মধ্যে মাথা ফাটল এক চাকরিপ্রার্থীর। বেশ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী প্রিজন ভ্যানের সামনে শুয়ে পড়েন। তাদের টেনে বের করে গাড়িতে তোলে পুলিস। ২০১৪ সালের টেট পাস ওইসব চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, তাদের নিয়োগ দিতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁর কথা রাখতে হবে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিন সকাল থেকেই মেট্রো এবং অন্যান্য গাড়ি করে টেট প্রার্থীরা এক্সাইড মোড়ে এসে জড়ো হতে থাকেন। তাদের সামাল দিতে আগে থেকেই মোতায়েন করা হয় বহু পুলিস। মহিলা পুলিসের সংখ্যাও ছিল চোখে পড়ার মতো। চাকরিপ্রার্থীরা রাস্তার মাঝে বসে পড়ায় যান চালাচল অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। এক বিক্ষোভকারী বলেন, প্রতিবার পুলিস দিয়ে আমাদের বিক্ষোভ তুলে দেওয়া হচ্ছে। এবার আর ফিরব না। আমাদের মতো ২০১৪ সালের নট ইনক্লুডেড প্রার্থীদের নিয়োগ দেওয়া না হলে এখান থেকে সরব না। বহু বিক্ষোভারীকে প্রিজন ভ্যানে তোলার পরও তারা নেমে এসে ফের রাস্তায় বসে পড়েন। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে চলে আসেন ডিসি সাউথ ও ডিসি সেন্ট্রাল। সবেমিলিয়ে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে এলাকা।


আরও পড়ুন-শান্তিপুরে রাস উৎসব; বড় গোস্বামী বাড়িতে মুখ্যমন্ত্রী


প্রিজন ভ্য়ানে যাতে পুলিস কাউকে নিয়ে যেতে না পারে তা রুখতে বেশ কয়েকজন মহিলা বিক্ষোভকারী ভ্যানের চাকার তলায় শুয়ে পড়েন। তাদের বের করে আনতে হিমশিম খেয়ে যায় পুলিস। যে বিক্ষোভকারীর মাথা ফেটে যায় তাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে পুলিস। তিনি বারবারই বলতে থাকেন, পুলিস আমাকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। পরিস্থিতি এমনই হয়ে দাঁড়ায় যে রাস্তা অবরোধমুক্ত করে যান চলাচল স্বাভাবিক করাই পুলিসের একমাত্র লক্ষ্য হয়ে ওঠে। ফল আন্দোলনকারীদের তুলে নিয়ে যেতে আনা হয় ১০-১২টি প্রিজন ভ্য়ান।


এদিকে, এক্সাইড মোড় থেকে ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসের দিকে এগিয়ে যায় বিক্ষোভকারীরা। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখানে পৌঁছে যায় টেট বিক্ষোভকারীরা। সেখানে তারা অভিষেকের অফিসের সামনে বসে পড়েন। এক বিক্ষোভকারী বলেন, ২০১৪ সালের প্রশিক্ষিত প্রার্থী আমরা। আমরা পাস করেছি। ফেল করিনি। পর্ষদ বলছে আমাদের চাকরির দাবি অনাহ্য। আমরা আমাদের হক আদায়ের জন্য এসেছি। অন্য এক টেট চাকরিপ্রার্থী বলেন, দেখুন কীভাবে মেরেছে। মেরে জামা ছিড়ে দিয়েছে। আমরা চোর নাকি ডাকাত! 


অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসের সামনে থেকে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিতে ফের আসরে নামে পুলিস। বিশাল পুলিস বাহিনী এসে ওইসব বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে নিয়ে যায়। এক্সাইড মোড়ের মতো একইভাবে তাদের ভ্যানে তোলা হয়। এই পরিস্থিতিতে বিক্ষোভকারীরা ফের এক্সাইড মোড়ের দিকে এগিয়ে যান। ক্যামাক স্ট্রিটে বিক্ষোভকারী অচিন্ত্য ধাড়া বলেন, হয় আমাদের চাকরি দিন নয়তো গুলি করে মারুন। আমরা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে এসেছি। কারণ আমরা জানি উনি আমাদের সমস্যার সমাধান করবেন। সরকার বারবার বলছে কোর্টের জন্য নিয়োগ হচ্ছে না। কোর্ট বলেছে নিয়োগ দিন। অথচ সরকার তা করছে না। শেষপর্যন্ত আশুতোষ মুখার্জি রোড থেকে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে রাস্তায় যান চলাচল স্বাভাবিক করে দেয় পুলিস। 


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)