ওয়েব ডেস্ক: কংগ্রেস সম্পর্কে দলকে নরম থাকার বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুঝিয়ে দিলেন, BJP-র বিরুদ্ধেই আসল লড়াই। সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে বৈঠকের পরই মমতার এই বার্তায় বাড়ছে জল্পনা। তা হলে কি পাল্টাতে চলেছে রাজ্যের রাজনৈতিক সমীকরণ? বাম-কংগ্রেসের জোট ভঙ্গ কি এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠক। প্রবল অস্বস্তিতে প্রদেশ কংগ্রেসের কট্টর তৃণমূল-বিরোধী নেতারা। কিন্তু, বিধান ভবনের সিদ্ধান্তে রাজ্যে কংগ্রেস যে চলবে না, দশ জনপথ যা বলে দেবে শেষপর্যন্ত সেটাই মানতে হবে, এ কথা অধীর চৌধুরী-মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দু-জনেরই জানা। 


অধীর চৌধুরী যাই বলুন না কেন, সোনিয়া-মমতা বৈঠকের পর দু-দল যে কাছাকাছি আসছে তা পরিষ্কার হয়ে গেল, তৃণমূলের সাংগঠনিক বৈঠকে। খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়। শুক্রবার দলীয় নেতাদের তিনি বলেন, এখানে কংগ্রেসের তেমন কিছু শক্তি নেই। ওদের কিছু করতে হবে না। সর্বভারতীয় স্তরে BJP-বিরোধিতাই এখন বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এ দিন বিধানসভাতেও দেখা গেছে অন্য ছবি। কংগ্রেস বিধায়ক প্রতিমা রজককে বিয়ের উপহার দেন মুখ্যমন্ত্রী। বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নানের সঙ্গে দেখা করে তাঁর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন তিনি। দু-জনের প্রায় দশ মিনিট কথা হয়। সেই সময় অন্য কংগ্রেস বিধায়করা চলে এলে তাঁদের সঙ্গেও কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। 


প্রশ্ন উঠছে, বঙ্গ-রাজনীতিতে কি এ বার তা হলে নতুন সমীকরণ? রাজনৈতিক মহল বলছে, সোনিয়া-মমতা দু-তরফেই রয়েছে নানা বাধ্যবাধকতা। পুরভোট সহ সাম্প্রতিক নানা নির্বাচনের ফল বলছে, বাম-কংগ্রেস নয়, এ রাজ্যে ক্রমশ প্রধান বিরোধী শক্তির জায়গা নিচ্ছে BJP। ফলে, কংগ্রেসের বদলে গেরুয়া শিবিরকেই টার্গেট করছেন মমতা। মোদী-বিরোধী শক্তিকে এক জায়গায় আনতে চাইলে কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের সুসম্পর্ক তৈরি হওয়া জরুরি। কংগ্রেস-তৃণমূল কাছাকাছি এলে হাত থেকে হাতুড়িকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলার কাজটাও সম্ভব। আর, সর্বভারতীয় স্তরে অ-BJP দলগুলিকে এক ছাতার নীচে আনতে চাইলে সোনিয়া গান্ধীরও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছাড়া চলবে না। 


সামনেই রাজ্যসভার নির্বাচন। সূত্রের খবর, রাষ্ট্রপতি-কন্যা শর্মিষ্ঠা মুখোপাধ্যায়কে কংগ্রেস মনোনীত করলে সমর্থন দিতে পারে তৃণমূল। সব দেখেশুনে রাজনৈতিক মহল বলছে, অধীর চৌধুরী যাই বলুন না কেন, এ রাজ্যে বাম-কংগ্রেসের গাঁটছড়া আর কতদিন তা নিয়ে ভাবার সময় এসে গেছে।