CPIM: রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে বাম নেতৃত্বের সিদ্ধান্তে প্রশ্ন, সামাল দিতে মাঝরাতে আসরে সীতারাম ইয়েচুরি
বুধবারের দিল্লির বৈঠকের পরে দলের কর্মীদের প্রশ্নের মুখে পরে বঙ্গ ব্রিগেড। দিল্লিতে বন্ধু, আর বাংলায় চরম বিরোধিতা! এই নীতি প্রশ্নের মুখে দাঁড়ায় আরও একবার। এর আগেও একাধিকবার এই ধরনের অবস্থা নিতে দেখা গেছে বামদলগুলিকে।
নিজস্ব প্রতিবেদনঃ শিয়রে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। আর এই নির্বাচনকে ঘিরেই রাজধানীতে শুরু হয়ে গেছে চাঞ্চল্য। প্রতিটি রাজনৈতিক দল এই মুহূর্তে নিজেদের মতো করে গুটি সাজাতে ব্যাস্ত। আর ঠিক এই সময়ে নিজেদের রাজনৈতিক মতাদর্শ নিয়ে দ্বন্দ্বে বাম শিবির।
তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার রাজধানীর কন্সটিটিউশন ক্লাবে একটি বৈঠক ডকাএন। সেই বৈঠকে তিনি ২২টি বিজেপি বিরোধী দলকে আমন্ত্রন জানান। এই বৈঠকে যোগ দেয় বাম দল সিপিআই এবং সিপিআইএম। সিপিআইএ-এর তরফে বৈঠকে ছিলন এলামারাম করিম। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, স্বাধীনতার ৭৫ বছরে যে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হতে চলেছে, সেখানে আমরা একসঙ্গে একজন প্রার্থীকে দাঁড় করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি যিনি সনবগিধানকে রক্ষা করতে পারবেন এবং মোদী সরকারকে দেশের ক্ষতি এবং সমাজের ক্ষতি করা থেকে আটকাতে পারবেন। এই সিদ্ধান্তে প্রাথমিক সম্মতি জানান বাম দলের প্রতিনিধিরা।
এর পরেই শ্যাম রাখি, না কূল রাখি অবস্থা হয় আলিমুদ্দিনের। বুধবারের দিল্লির বৈঠকের পরে দলের কর্মীদের প্রশ্নের মুখে পরে বঙ্গ ব্রিগেড। দিল্লিতে বন্ধু, আর বাংলায় চরম বিরোধিতা! এই নীতি প্রশ্নের মুখে দাঁড়ায় আরও একবার। এর আগেও একাধিকবার এই ধরনের অবস্থা নিতে দেখা গেছে বামদলগুলিকে। কিন্তু এবার সমালোচনা এতোই বেশি যে সিপিআইএম-এর সোশ্যাল মিডিয়া টিম পার্টি কংগ্রেসের প্রকাশ কারাটের বক্ত্যবের ক্লিপ নিজেরাই প্রকাশ করছেন সাফাই দিতে।
আরও পড়ুন: Arjun Chourasia: অর্জুন চৌরাসিয়ার ভিসেরাতে মেলেনি 'বিষাক্ত' কোনও পদার্থ, রিপোর্ট জমা পড়ল আদালতে
এখানেই থেমে থাকেনি বিষয়টি। এমনকি রাত ১১.৭মিনিটে টুইট করে এই সিদ্ধান্তের পক্ষে সাফাই দিতে হয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিকেও।
যদিও এরপরে থেমে থাকেনি সমালোচনা। যে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারের ঝড় তুলেছিল সিপিআইএম সেখানেই প্রবল সমালোচনায় বিদ্ধ হচ্ছে দলের এই সিদ্ধান্ত। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ্যেই দলের সিদ্ধান্তের সমালোচনা শুরু করেছেন দলেরই একাংশের সমর্থকরা। ২০১১ সালের পড় থেকে বিভিন্ন সময়ে এই রাজ্যের বাম কর্মিদের উপর তৃণমূলের অত্যাচারের কথা এবং গত ১২ বছরে তৃণমূলই সন্ত্রাসে দলের সদস্য, সমর্থক এবং নেতাদের মৃত্যুর কথা মনে করিয়ে দিয়ে এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করছেন সমর্থকরা।
অনেক সমর্থকই এই সিদ্ধান্তকে দলের নেতাদের ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা বলেও অভিহিত করেছেন। অনেকেই মনে করেছেন এই সিদ্ধান্ত আসলে দ্বিচারিতা এবং অন্য দলের দিকে আঙ্গুল তোলার আগে বাম দলগুলির নিজেদের দিকে আঙ্গুল তোলা উচিত।
(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)