নিজস্ব প্রতিবেদন : আবারও দেহ নিয়ে রাজনীতি। টানাপোড়েন। দলীয় অফিসে কর্মীর দেহ নিতে অনড় বিজেপি। পুলিসও নাছোড়, দেহ নিয়ে যেতে হবে নানুরেই। শেষ পর্যন্ত দেহ মর্গে রেখেই রওনা দিল পরিবার। রাতেই হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে দরবারের হুঁশিয়ারি গেরুয়া শিবিরের। এদিকে রাতেই শেষ পর্যন্ত হাসপাতাল থেকে নিহত বিজেপি কর্মী স্বরূপ গড়াইয়ের দেহ নানুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় পুলিস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING



সোমবার সকাল থেকেই এনআরএস হাসপাতাল চত্বরে ভিড় করছিলেন বিজেপি নেতা কর্মীরা। বেলা গড়াতেই পুলিস প্রশাসনের সঙ্গে শুরু হয়ে যায় চাপানউতোর। বাড়তে থাকে উত্তেজনা। মর্গ থেকে  হাসপাতাল চত্বর, পুলিসে পুলিসে ছয়লাপ হয়ে যায়। নানুরের মৃত বিজেপি কর্মী স্বরূপ গড়াইয়ের দেহ মুরলীধর সেন স্ট্রিটের বিজেপি অফিসে নিয়ে যাওয়া হবে, পরিবারের এই দাবির পরই শুরু হয় দুপক্ষের চাপানউতোর।


আরও পড়ুন - ফের ব্যস্ত সময়ে সন্ধ্যায় মেট্রোয় ঝাঁপ, মৃত কলেজ পড়ুয়া


পুলিসের নির্দেশ, দেহ নিয়ে যেতে হবে নানুরে। বিজেপিও নাছোড়, দেহ যাওয়ার রুট ঠিক করবে পরিবার। দুপুরের পরে শুরু হয় দেহের ময়নাতদন্ত। যা নিয়েও অভিযোগে সরব হয় বিজেপি। ইচ্ছে করে ময়নাতদন্তে দেরি করছে পুলিস, অভিযোগ তোলে গেরুয়া শিবির। পাল্টা পুলিস জানায়, আরও ময়নাতদন্ত চলাতেই সময় লাগছে। বিকেলের পরিস্থিতি আরও চরমে ওঠে। বিকেলেই বিজেপির তরফ থেকে ইঙ্গিত দেওয়া হয়, প্রয়োজনে দেহ নেওয়া হবে না। সন্ধে নামতে সেই আশঙ্কাই সত্যি হয়। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপ চাওয়া হবে বলে সন্ধে নাগাদ দেহ মর্গে রেখেই হাসপাতাল ছাড়েন পরিবার ও বিজেপি নেতৃত্ব। যদিও রাতে দীর্ঘ টানাপোড়েন শেষে স্বরূপ গড়াইয়ের দেহ নানুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় পুলিস।