ওয়েব ডেস্ক : আয়া থেকে নার্সিংহোমের মালিক। সেখান থেকে শিশু পাচার চক্রের পাণ্ডা। ২৫ বছরে চোখ ধাঁধানো উন্নতি পুতুল ব্যানার্জির। বেহালার মানুষ অবশ্য তাঁকে চেনেন বড়দি বলে। শিশু পাচার চক্রের অন্যতম মূল কারবারী এখন CID হেফাজতে। বেহালার সাউথ ভিউ নার্সিংহোমের শেষ কথা বড়দি। নার্সিংহোমের আড়ালে যিনি ফেঁদে বসেছিলেন শিশু পাচারের রমরমা কারবার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বেহালার সাউথ ভিউ নার্সিংহোমের যতটা না নার্সিংহোম হিসাবে খ্যাতি, তার চেয়ে অনেক বেশি পরিচিতি গর্ভপাত কেন্দ্র হিসাবে। স্বামীর মৃত্যুর পর নার্সিংহোমের মালিকানা হাতে আসে বড়দির। তারপরই  আড়ালে শুরু হয় শিশু পাচারের ব্যবসা। এলাকার মানুষ বড় একটা পা রাখতেন না বড়দির নার্সিংহোমে। টার্গেট ছিল,গরীব কমবয়সি মায়েরা। মূলত বজবজ, মহেশতলা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রত্যন্ত এলাকা থেকে রোগী আসতেন এখানে। নার্সিংহোমে  ছিল না কোনও চিকিত্সক। স্যালাইন  থেকে ইঞ্জেকশন সবটাই চলত বড়দির নির্দেশে। যাঁরা সেকাজ করতেন তাঁদেরও নেই প্রথাগত কোনও প্রশিক্ষণ।


বিকেলের দিকে অচেনা মানুষদের আনাগোনা চোখ এড়ায়নি এলাকার মানুষের। তবে সন্দেহ হলেও, মুখ খুলতে সাহস পাননি তাঁরা। কারণটা অবশ্যই বড়দির প্রভাব। এলাকার কান পাতলেই শোনা যায় স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা থেকে পুলিস, সব জায়গাতেই ভালো যোগাযোগ ছিল বড়দির। আর সেই যোগাযোগকে এনক্যাশ করেই শুধু ট্রেড লাইসেন্সে ভর করে রমরমা ব্যবসা চালাচ্ছিলেন তিনি। তাঁর সহযোগী মেজদি ওরফে প্রভা প্রামাণিকের ঠাকুরপুকুরের নার্সিংহোমের দিকেও নজর রাখছে সিআইডি।


আরও পড়ুন, 'লতায়-পাতায়' জাল বুনে পাচারের ছক রাজ্য জুড়ে!