অয়ন ঘোষাল: জোড়াবাগানে কাণ্ডে আটক করা হল বাড়ির কেয়ারটেকারকে। গতকালই বাড়ির কেয়ারটেকারকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিস। ঘটনার দিন রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত বাড়িতে কে বা কারা ঢুকেছিল। সমস্ত জানতে চাওয়া হয়। তিনি জানিয়েছেন, এ দিন তিনি বিরিয়ানি আর মদ্য়পান করে ঘরে ঢোকেন। তাঁর বয়ানে একাধিক অসঙ্গতি মেলায় তাকে আটক করে পুলিস। পুলিস সূত্রে খবর, হয়ত কিছুক্ষমের মধ্যে তাঁকে গ্রেফতার করা হতে পারে। পুলিস জানিয়েছে কেয়ারটেকরের মোবাইলে প্রায় ১২টি চায়েল্ড পর্ণোগ্রাফি পাওয়া গিয়েছে। ইতিমধ্যেি ঘটনার তদন্ত ভার গিয়েছে লালবাজার গোয়েন্দা বিভাগের ওপর। সন্দেহ জোড়ালো হচ্ছে কেয়ারটেকরের দিকেই। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জোড়াবাগানে ৯ নছরের নাবালিকার গলাকাটা দেহ উদ্ধারের ঘটনায় ইতিমধ্যেই যৌন নির্যাতন (Sexual Assault) করে খুনের অভিযোগেই শিলমোহর দিয়েছে ফরেন্সিক দল। গতকাল উত্তর কলকাতার জোড়াবাগানে (Jorabagan)-এ ৯ বছরের নাবালিকাকে যৌন নিগ্রহ (Sexual Assault) করে খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়! 


আরও পড়ুন: জোড়াবাগান কাণ্ড: নাবালিকার উপর পৈশাচিক নির্যাতন, ছাদ থেকে মিলল ৪টে ভাঙা দাঁত-ছুরি


ফরেন্সিক টিমের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রথমে ওই নাবালিকার উপর যৌন নির্যাতন চালানো হয়। তারপর তাকে শ্বাসরোধ করে খুন (murder)করা হয়। এরপর মৃত্যু নিশ্চিত করতে ফের গলায় আড়াআড়িভাবে ছুরি চালানো হয়। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে সেই ছুরি।


ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা আরও জানিয়েছেন, নাবালিকার চারটি দাঁত ভেঙে ঘটনাস্থলে পড়েছিল। নাবালিকার মাথার পিছন দিকের চুল টেনে ছেঁড়া হয়েছে। অপরাধীর হাত থেকে বাঁচার জন্য ৯ বছরের ওই নাবালিকা প্রতিরোধের আপ্রাণ চেষ্টা করেছিল। ঘটনাস্থলে ধস্তাধস্তির (Sexual Assault) প্রচুর চিহ্ন মিলেছে। নিম্নাঙ্গের বস্ত্র ও অন্তর্বাস পরনে থাকলেও, গোপনাঙ্গ উন্মুক্ত অবস্থায় ছিল। ছাদে হাওয়াই চটি পড়া ও খালি পায়ের ছাপ পাওয়া গিয়েছে। 


অভিযুক্তের পাশাপাশি ওই নাবালিকাকে খোঁজাখুঁজি করতে বহু মানুষও ছাদে উঠেছিলেন। ফলে প্রচুর পায়ের চাপে অভিযুক্ত এক না একাধিক, তা বোঝা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাসি শুরু হয়েছে। যৌন নিগ্রহ (Sexual Assault) করে খুনের ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিস। পাশাপাশি যে দুই বালিকার সঙ্গে নির্যাতিতা নাবালিকাকে শেষবার দেখা গিয়েছিল, অভিভাবকদের উপস্থিতিতে তাদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করছেন গোয়েন্দারা।