মৌমিতা চক্রবর্তি: "ভুল শুধরে" রাজ্যের সমস্ত বামপন্থী দলকে ঐক্যবদ্ধ লড়াই আহ্বান লিবারেশনের। বছর ঘুরতেই কী ভুল ভাঙল সিপিআইএম লিবারেশনের? দুদিনের লিবারেশনের রাজ্য সম্মেলনের সিদ্ধান্তে কিন্তু এই প্রশ্নই উঠে আসছে। ২৭ এবং ২৮ সেপ্টেম্বর মৌলালী যুব কেন্দ্রে সিপিআইএম লিবারেশনের রাজ্য সম্মেলন আনুষ্ঠিত হয়। সেই সম্মেলনে পশ্চিমবঙ্গের আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন ও পরবর্তী সময়ে সমস্ত বামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলিকে ঐক্যবদ্ধভাবে বিজেপি এবং তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের আহ্বান জানিয়েছে তারা। তাদের যুক্তি রাজ্য সরকারের বিরূদ্ধে পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতি, নেতা, মন্ত্রীদের গ্রেফতারি সহ একাধিক ক্ষেত্রে নৈরাজ্যের চিত্র উঠে আসছে। বিজেপি অথবা আরএসএস সম্পর্কে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মন্তব্যে বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূলের অবস্থান স্পষ্ট হচ্ছে না।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

একুশের বিধানসভা নির্বাচনের 'নো ভোট টু বিজেপি' ক্যাম্পেন চালিয়ে ঘুরপথে তৃণমূলকে যে তারা ভোট পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টায় সফল হয়েছিল তা তৃণমূল সঠিক কাজে লাগায়নি। তাই, ‘তৃণমূলকে এবার একটুও ছাড় নয়’, বলেছেন সিপিআইএম লিবারেশনের সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য।


লিবারেশনের আরও বক্তব্য, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে বিজেপির ক্ষমতা দখলের সম্ভবনা ছিল। যা কখনও চায়নি লিবারেশন। তাই, ‘নো ভোট টু বিজেপি’ ক্যাম্পেন চালিয়ে তৃণমূলের সুবিধা করে দিয়েছিল তাঁরা। রাজ্যে তৃতীয়বার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে ক্ষমতা দখল করে। কিন্তু, যে আশা-ভরসা নিয়ে ঘুরপথে তৃণমূলকে সাহায্য করেছিল লিবারেশন, তা পূরণ হয়নি বলেই অভিযোগ। বরং, আনিস খানের হত্যা থেকে শুরু করে দেউচা পাঁচামি কয়লা খনি প্রকল্প, নিয়োগ দুর্নীতির মতো একাধিক ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের রায়ের বিরূদ্ধে যাচ্ছে তৃণমূল সরকার। মানুষের লড়াই আন্দোলনের অধিকার হরণ করছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।


পড়ুন, বাঙালির প্রাণের উৎসবে আমার 'e' উৎসব। Zee ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল শারদসংখ্যা


লিবারেশন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে একুশের নির্বাচনের সময় আমাদের কথা ছিল বিজেপিকে রুখতে আমাদের একজোট হতে হবে। ভোট পরবর্তীতে যখন তৃণমূল সরকারের অপশাসন চলছে, সেখানে আমরা খোলাখুলি বলেছি তৃণমূলকে একটুও ছাড় নয়। কিন্তু এখনকার জোটে পশ্চিমবঙ্গের প্রসঙ্গটা সম্পূর্ণ আলাদা। রাজ্যজুড়ে বামপন্থীদের প্রতি ফের ভরসা করতে শুরু করেছে সাধারণ মানুষ। তাই এই মুহূর্তে রাজ্যের সকল বামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলির ঐক্যবদ্ধ হওয়াটা জরুরি। তাই রাজ্য সম্মেলনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সমস্ত রাজনৈতিক বামপন্থী দলগুলিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে তৃণমূল বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের আহ্বান জানাচ্ছেন তারা। ঠিক তেমনি, বিভিন্ন রাজ্যের শাসক আঞ্চলিক দলগুলির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ থাকতেই পারে। সেক্ষেত্রে লিবারেশন লড়াই চালিয়ে যাবে। তবে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সেই আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিজেপিকে হটানো প্রয়োজন। এর পরেই দীপঙ্করবাবুর মন্তব্য, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিরোধী ঐক্যকে আন্দোলনমুখী করতে গেলে কৃষক আন্দোলন কিংবা ছাত্র আন্দোলন থেকে শেখা উচিত। তবেই কৃষি আইনের মত অগ্নিপথ প্রকল্পও কেন্দ্র প্রত্যাহার করতে বাধ্য হবে।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)