জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আংটি বিতর্কে সংশোধনাগারের উত্তরে অসন্তুষ্ট আদালত। একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়লেন সংশোধনাগার সুপার। ‘নয় মাসে যেটা করতে পারলেন না, ন’মিনিটে করে ফেলা গেল’। আদালতের মধ্যেই সুপারকে দশ মিনিট সময় দেওয়া হয় উত্তর লেখার জন্য।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

উত্তর দেওয়ার পরেও প্রশ্নের মুখে সুপার। ‘আপনি কি নিজেই জেল আইন তৈরি করছেন?’ বিচারকের প্রশ্ন সুপারকে।


আংটি বিতর্কে আদালতে ইডির জোরালো সওয়াল। ইডির আইনজীবীর দাবি, ‘রাজ্য কারা আইনে বলা আছে এই ধরনের অভিযোগ উঠলে আইজি কারা বা এডিজি কারা অভিযুক্তকে রাজ্যের মধ্যে বা ভিন রাজ্যের জেলে অভিযুক্তকে স্থানান্তরিত করা যায়’।


ইডির তরফে আদালতে সওয়ালে বলা হয়, ‘উনি এমন একজন জেল সুপার যার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে একাধিক। উনি হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করেছেন। ২০০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একটা অদৃশ্য হাত কাজ করছে। যার জেরে তাকে অন্যত্র বদলি করা যায় না’।


আরও পড়ুন: Second Hooghly Bridge: দু'দিন বন্ধ থাকবে বিদ্যাসাগর সেতু, কোন পথে ঘুরবে গাড়ি?


জেলের ভেতরে আংটি পরে কেন? পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেয় ইডি। আগের বুধবার ইডির আইনজীবী বলেন, একজন কয়েদি কীভাবে জেলের ভেতরে আংটি পরে জেলে থাকতে পারেন। এটা জেল ম্যানুয়েলের পরিপন্থী। এর থেকেই বোঝা যায় তিনি কতটা প্রভাবশালী। পার্থ চট্টোপাধ্যোয়কে একবার আঙুলগুলো দেখাতে বলুন। আইনজীবীর কথা শুনে বিচারপতি পার্থকে লক্ষ্য করে বলেন, হাতের তালুটা তুলে একবার দেখান।


আরও পড়ুন: Kolkata Police: নাইট রাইডার্সের ম্যাচের আগে হুমকি পোস্ট, দ্বারভাঙার কিশোরকে জেরা করে তাজ্জব পুলিস


শুনানিতে এমন জেরায় অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বিচারপতি জিজ্ঞাসা করেন, কটা আংটি পরে আছেন হাতে? আপনাকে কেউ বলেনি যে এসব নিয়ে জেলে ঢোকা যায় না? বিচারকের ওই কথা শুনে পার্থর আইনজীবী বলেন, পার্থবাবুর এটা জানার কথা নয়। উনি জেল ম্যানুয়াল জানেন না। অন্যদিকে, পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, দুটো আঙুলে আংটি আছে। আমাকে কেউ বলেননি আংটি পরে জেলে ঢোকা যায় না। স্বাস্থ্যের জন্য ২টো আংটি পরেছি। এমনকিছু দামি নয় আংটিগুলো।  


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)