ওয়েব ডেস্ক : রিও-র আউটডোর কার্নিভালকে টেক্কা দেওয়ার ক্ষমতা ধরে বাংলার শারদোত্‍সব। কিন্তু, সারা বিশ্বের কাছে দুর্গা পুজোর চেয়ে কার্নিভালের পরিচিতি অনেক বেশি। এই অবস্থাটাই এ বার বদলে দেওয়ার চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার। দুর্গা পুজোর হাত ধরেই দুনিয়া দরবারে শুরু হচ্ছে বাংলার ব্র্যান্ডিং। রিও-র কার্নিভাল। চেনে সারা বিশ্ব। ফুটবল আর কার্নিভালেই গড়া ব্রাজিলের পরিচিতি।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বাংলার দুর্গাপুজো। জৌলুসে-কলেবরে-মানুষের অংশগ্রহণে-ব্যবসার অঙ্কে কার্নিভালকে টেক্কা দিতে পারে আমাদের শারদোত্‍সব। কিন্তু, সারা বিশ্বে রিও-র যা পরিচিতি বাংলা সেখানে কোথায়? টেমসের ব্রিজে লন্ডন, আইফেল টাওয়ারে প্যারিস চেনে গোটা বিশ্ব। যেমন, তাজমহলে এ দেশের পরিচিতি। বালি, কেল্লা, পুষ্করে রাজস্থান। বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ অরণ্য সুন্দরবন আর রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারে গোটা দুনিয়ায় বাংলার নাম। কিন্তু, আরও বড় সম্পদ যে এখনও সুপ্তই রয়ে গেছে। সারা বিশ্বের দরবারে বাংলার স্বতন্ত্র পরিচিতি গড়ে তুলতে, রাজ্যের সফল ব্র্যান্ডিংয়ের লক্ষ্যে এ বার দুর্গাপুজোকেই হাতিয়ার করছে সরকার।


শহরের সেরা পুজোগুলিকে নিয়ে রেড রোডে বিসর্জনের শোভাযাত্রা। লাইন দিয়ে ঠাকুর দেখা নয়। আপনার সামনে ঠাকুরই আসবে লাইন দিয়ে। নতুন স্বাদ পাবেন রাজ্যবাসী। সঙ্গে, দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে সেরে ফেলা যাবে বাংলার ব্র্যান্ডিং। এমনই পরিকল্পনা রাজ্য সরকারের। বিশেষজ্ঞরা বলেন, ব্র্যান্ডিংয়ের ক্ষেত্রে রিকল ভ্যালু খুব গুরুত্বপূর্ণ। আইফেল টাওয়ার, টেমসের ব্রিজ প্যারিস-লন্ডনের জন্য এই কাজটাই করে থাকে। দুর্গা পুজো বাংলার পাড়ায়-পাড়ায়, অলি-গলিতে। পুজো এনে দেয় কয়েক হাজার কোটি টাকার ব্যবসা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শারদোত্‍সবের হাত ধরে রাজ্যের ব্র্যান্ডিং ঠিকমতো হলে শুধু পর্যটনই নয়, সারা বিশ্বের সামনে খুলে যাবে বিপণনের নতুন দরজা। আসবে আর্থিক সমৃদ্ধি। সেই লক্ষ্যেই পথ চলা শুরু হচ্ছে শুক্রবার সন্ধেয় রেড রোডে।