নিজস্ব প্রতিবেদন: ২২ বছরের যুবকের হৃদযন্ত্রে নতুন জীবনের পথে ১৩ বছরের কিশোর। পূর্বভারতে এটাই কণিষ্ঠতমের মরণোত্তর হার্ট প্রতিস্থাপন। মঙ্গলবার হাওড়ার নারায়ণা হাসপাতালে এই মরণোত্তর অঙ্গ প্রতিস্থাপন সম্পন্ন হয়। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সবংয়ের ২২ বছরের যুবক গত ২৮ তারিখ গানের অনুষ্ঠান শুনে ফেরার পথে দুর্ঘটনার মুখে পড়েন। সবং হাসপাতাল, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ঘুরে অ্যাপোলো গ্লেনেগ্যালস হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। তবে অর্ণবের বাবা সুখদেব অধিকারিকে আশার কথা শোনাতে পারেননি চিকিৎসকেরা।পরিবারকে জানিয়ে দেওয়া হয় ব্রেন ডেড হয়েছে যুবকের। তারপরই চিকিৎসকেরা, মরণোত্তর অঙ্গদানের প্রস্তাব দেন যুবকের পরিবারের কাছে। রাজি হয়ে যায় পরিবারও। 


এরপরই সোমবার রাত থেকে শুরু হয় গ্রহীতা খোঁজার কাজ। ওড়িশার বাসিন্দা ১৪ বছরের এক কিশোর, জন্মগত হার্টের সমস্যায় যে গুরুতর অসুস্থ, সিদ্ধান্ত হয়, তাঁর শরীরেই প্রতিস্থাপিত হবে ওই যুবকের হার্ট। পূর্বভারতের এই কিশোরই কণিষ্ঠতম মরণোত্তর হৃদযন্ত্রের গ্রহীতা। 


এছাড়াও যুবকের দু’টি কিডনি, লিভার এবং কর্ণিয়াও সংগ্রহ করা হয়েছে। মঙ্গলবারই তাঁর একটি লিভার এবং কিডনি বাইপাস লাগোয়া ওই বেসরকারি হাসপাতালেরই দুই গ্রহীতার শরীরে প্রতিস্থাপিত হবে। অপর কিডনিটি পাবেন এসএসকেএমের এক গ্রহীতা। ঘটনাচক্রে  ২৬ বছরের সেই মহিলাও পূর্ব মেদিনীপুরেরই বাসিন্দা। মাত্র চার মাস আগে বিয়ে হওয়া যুবকের পরিবার চোখের জলে একটাই আবেদন জানাচ্ছেন, অন্য পরিবারও যেন তাঁদের মতোই এগিয়ে আসেন মরণোত্তর অঙ্গ দানে।