Jagdeep Dhankhar: এমন ঘটনা যেন আর না হয়, বিধানসভায় বিশৃঙ্খলা নিয়ে সতর্ক করলেন রাজ্যপাল
শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা বিধায়করা রাজ্যপালকে হেনস্থা করেছেন
নিজস্ব প্রতিবেদন: বিধানসভা অধিবেশনের শুরুতেই বিজেপি বিধায়কদের বিক্ষোভে তাঁর ভাষণ প্রায় পড়তেই পারলেন না রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। প্রায় ঘণ্টাখানের তুমুল হইহট্টগোলের পর ভাষণের প্রথম ও শেষ লাইন পাঠ করেই বিধানসভা ত্যাগ করেন রাজ্যপাল। রাজভবনে ফিরে এনিয়ে সরব হলেন জগদীপ ধনখড়।
সোমবার বিধানসভা অধিবেশন থেকে রাজভবনে ফিরে যাওয়ার পরই রাজ্যপালকে 'ধন্যবাদ' দিতে রাজভবনে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুজনের মধ্যে বৈঠক শেষ বেরিয়ে এসে ধনখড় বলেন, বিধানসভা যা কিছু হয়েছে তার মধ্যে কিছু জিনিস না হলেই ভালো হত। গণতন্ত্রে বিরোধীদের অধিকার হল প্রতিবাদ করা। ট্রেজারি বেঞ্চের বিধায়ক ও মন্ত্রীরা রাজ্যপালকে একপ্রকার আটকে রেখেছিলেন। এমন ঘটনা অভিপ্রেত নয়। ট্রেজারি বেঞ্চ ও বিরোধীরা একে অপরের সঙ্গে গণতান্ত্রিকভাবে লড়াই করবেন। তবে স্পিকার ও রাজ্যপালকে এর বাইরে রাখতে হবে। আজ দুপক্ষকেই থামাতে চেষ্টা করেছিলাম যাতে উত্তেজনা কমে। কিন্তু দু'পক্ষ থেকেই কোনও সহায়তা পাইনি। তারপরেও আমার উপরে যে সাংবাধিনিক দায়িত্ব ছিল আমাকে তা পালন করতে হয়েছে। রাজ্যপাল হিসেবে আমি রাজ্য সরকারে কোনও সাংবিধানিক সঙ্কটে ফেলতে পারি না। তবে এরকম ঘটনা যেন না হয়।
শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা বিধায়করা রাজ্যপালকে হেনস্থা করেছেন। সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তর রাজ্যপাল বলেন, এটা যারা অভিযোগ করেছেন তারাই ভালো বলতে পারবেন। তবে কিছু জিনিস হয়েছে যা হওয়া একেবারেই উচিত নয়। একেবারই অপ্রত্য়াশিত। আমি বিধানসভার বিধানসভার সেক্রেটারিকে বলেছিলাম মার্শাল ডাকতে। এরকম এক পরিস্থিতিতে মার্শালরাই বিধানসভার শৃঙ্খলা ফেরাতে পারেন। সেক্রেটারি সঙ্গে সঙ্গে বলেন তিনি মার্শালকে তা জানিয়েছেন কিন্তু মার্শাল তা মানতে অস্বীকার করেন। এটা খুব ছোটখাট ব্যাপার নয়। অত্যন্ত গুরুতর বিষয়। আজ বিধানসভায় যা হল তাতে ট্রেজারি বেঞ্চ ও বিরোধীদের আত্মসমালোচনা করা উচিত। এই গণতন্ত্র আমাদের অত্যন্ত কষ্ট করে পাওয়া। এটা খর্ব হতে দেওয়া য়ায় না।
ধনখড় আরও বলেন, অধিবেশন শেষ হওয়ার পরই মুখ্যমন্ত্রী রাজভবনে এসেছিলেন। আমার সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন। আমরা মনে হয়ে ওই কথাবার্তার পর পরিস্থিতির উন্নতি হবে। নম্বরের জোর কিছু লোক শাসন ক্ষমতা পায়। কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে বিরোধীদের সেখানে জায়গা থাকবে না। বিরোধীদের কথাও শুনতে হবে।
আরও পড়ুন-রাজ্যপালের ভাষণ 'মমতার মস্তিষ্কপ্রসূত'; প্রতিলিপি দেখে প্রতিবাদ করেছি; Suvendu