প্রবীর চক্রবর্তী: সন্দেশখালির ভাইরাল ভিডিয়ো নিয়ে এবার মুখ খুললেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। রবিবার এক সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি দাবি করেন, বিষয়টি আর রাজনীতির নয়। এর সঙ্গে বাংলার মানসম্মান জড়িত। তাই ওই ভিডিয়োতে যাদের নাম উচ্চারণ হয়েছে তাদের কাস্টডিতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে দেখতে হবে তারা এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-'রাজনীতি করতে ওরা বাংলাকে বদনাম করে, তাই ওদের বাংলা বিরোধী বলি', সন্দেশখালি ভিডিয়ো নিয়ে সরব অভিষেক


সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে একটি স্টিং অপারেশনে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য বেরিয়ে এসেছে। সেখানে বিজেপির মন্ডল সভাপতি গঙ্গাধর কয়ালের বক্তব্য অনুযায়ী গোটা ঘটনা একটা পরিকল্পনা মাফিক হয়েছে। এর জন্য টারা প্রভাবশালীদের প্রভাব কাজ করেছে। অভিযোগের তির এখন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দিকে। গঙ্গাধর কয়াল ছাড়াও ক্যামেরার সমানে কথা বলেছেন জবারানী সিং ও শান্তি দোলুই নামে দুজন।গঙ্গাধর কয়াল স্বীকার করেছেন ভিডিয়োতে স্বরটা তার? ওই তিন জনের কথা থেকে একটা জিনিস স্পষ্ট যে সন্দেখালির আন্দোলন তৈরি করা। এর পেছনে বিজেপির মদত রয়েছে।


এদিন কুণাল ঘোষ বলেন, আমরা প্রথম দিন থেকে বলে এসেছি,জমি কেড়ে নেওয়ার কোথাও কোনও অভিযোগ যদি থাকে তাহলে দল ব্যবস্থা নিচ্ছে। প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছে। কিন্তু নারী নির্যাতন নিয়ে যেসব কথা বলা হচ্ছে  সেটা সাজানো নাটক। রাজ্যের ভাবমূর্তি নষ্ট করা জন্য পরিকল্পিতভাবে এসব করা হয়েছে। সন্দেশখালির নারী নির্যাতরের বিষয়টি বিজেপি ও বিরোধীরা ব্যবহার করছে। এটা আমরা বহু দিন থেকেই বলে আসছি। এখন যে ভিডিয়ো সামনে এসেছে তাতে এটা স্পষ্ট যে এটা একটা বিরাট ষড়যন্ত্র। ফাঁস হয়েছে কীভাবে কারা মিথ্যে কথা বলে বিকৃত তথ্য দিয়ে মিথ্যে বলতে প্ররোচিত করেছে। এসব এখন সামনে চলে আসছে। সামনে আনছেন বিজেপিরই স্থানীয় নেতা। খুব স্পষ্ট করে বলতে চাই বাংলার ৫ কোটি মা বোন মহিলাকে অপমান করা হয়েছে। তাই এটা যেন রাজনৈতিক তরজায় সীমাবদ্ধ না থাকে। যা হয়েছে তা রাষ্ট্রদ্রোহীতার সামিল। তাই পুলিস সুয়োমোটো মামলা করুক। কারণ যে ভিডিযোটি সামনে এসেছে সেখানে  যেসব কথা উঠে এসেছে যে ধর্ষণের মিথ্যে অভিযোগ করতে হবে, লোককে উত্তেজিত করতে হবে, দরকার হলে অস্ত্র দেওয়া হবে। টাকা দেওয়া হবে। ওরা করেছে ভোটের জন্য। কিন্তু আমরা এটা ভোট বলে দেখছি না। এর সঙ্গে বাংলার মানসম্মান জড়িত। টাকার খেলা রয়েছে এর মধ্যে। এই যে গঙ্গাধর কয়াল, তাকে কাস্টডিতে নিতে হবে। বিজেপি এখন প্রভাব খাটিয়ে সাক্ষ্য বদল করার চেষ্টা করছে।  ওই ভিডিয়োয় যাদের নাম উচ্চারিত হয়েছে তাদের কাস্টডিতে নিতে হবে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে দেখতে হবে কারা এর সঙ্গে জড়িত। বলা হচ্ছে সিবিআই চাই। সিবিআই তো প্রটেকশন দেবে। নারদা কেসে যিনি এফআইআর নেমড তার নাম তো এই কেসে শোনা যাচ্ছে। রাজ্য পুলিস তদন্ত করলে কেসটা ফাঁস হয়ে যাবে তাই সিবিআইয়ের কাছে আশ্রয় চাওয়া হচ্ছে।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)