কলকাতা: কুতুবুদ্দিন  লস্কর, শামিম হাওলাদার, আজিম মিস্ত্রি। শুক্রবার ভোররাতে আলিপুর জেলে সেলের গরাদ কেটে, দু দুটো পাঁচিল টপকে উধাও হল তিন কয়েদি। তিনজনেই কুখ্যাত দুষ্কৃতী। উধাও হল প্রহরী ও সিসিটিভির নজরদারি থাকা সত্ত্বেও। এ ঘটনায় গাফিলতির অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয়েছে জেলের সুপারসহ মোট তিনজনকে। তবে এড়ানো যাচ্ছে না জেলের নিরাপত্তার ফাঁকফোকর নিয়ে একগুচ্ছ অস্বস্তিকর প্রশ্ন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আলিপুর সেন্ট্রাল জেলের ১৪ নম্বর ব্লকের পাঁচ নম্বর সেল। এই সেলেই ছিল তিন কুখ্যাত দুষ্কৃতী কুতুবুদ্দিন, সামিম ও আজিম।  নিয়মমাফিকই বৃহস্পতিবার বিকেলে সেলে তালাবন্দি করা হয় তিনজনকে। কিন্তু ছক তৈরি ছিল আগেই। সেলের মধ্যে আগেই পৌছে গিয়েছিল করাত। গভীর রাতে সেই করাত দিয়েই লোহার গারদের শিক কেটে বাইরে বেরিয়ে আসে তিন জন। সামনে বাধা তখন জেলের পাঁচিল।


তিন দুষ্কৃতীকে পালাতে দেখেন ওয়াচ টাওয়ারের রক্ষী। অন্যদের কিন্তু সতর্ক করেন তিনি। কিন্তু বাধা দেননি। কেন?


কীভাবে সেলের মধ্যে পৌছে গেল করাত, প্রশ্ন উঠছে সে নিয়েও।


জেলের  প্রতিটি সেলের সামনে রাতে কারারক্ষী মোতায়েন থাকে। কী করছিলেন ওই সেলের সামনে কর্তব্যরত রক্ষী। উঠছে সে প্রশ্নও। পলাতক কয়েদীদের মধ্যে রয়েছে আজিম মিস্ত্রি। এর আগেও ডায়মন্ড হারবার জেল থেকে পালিয়েছিল সে। তাহলে কেন ছিল না অতিরিক্ত নজরদারি? উত্তর মিলছে না এমন অনেক অস্বস্তিকর  প্রশ্নের।এঘটনায় ইতিমধ্যেই জেলের সুপারসহ সাসপেন্ড করা হয়েছে তিনজনকে। তবে গরাদ কেটে, দুদুটো পাঁচিল টপকে তিন কুখ্যাত দুষ্কৃতীর উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনা এবার আলিপুর সেন্ট্রাল জেলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিল।