কলকাতায় বিপজ্জনক বাড়ির সংখ্যা ৩ হাজার
বিপজ্জনক বাড়ির বিপদ থেকে বাঁচতে কী করা যেতে পারে? সমাধানের খোঁজে দমকল ও পুলিসের সঙ্গে বৈঠক করল কলকাতা পুরসভা। বেশ কয়েকটি প্রস্তাব দিয়েছে দমকল ও পুলিস। বিকল্প ভাবনা রয়েছে পুরসভার মনেও। বিপজ্জনক বাড়ি? ঘাড়ের ওপর যমের নিশ্বাস? পুরকর দিয়েও মৃত্যুর সঙ্গে সহবাস?
ওয়েব ডেস্ক : বিপজ্জনক বাড়ির বিপদ থেকে বাঁচতে কী করা যেতে পারে? সমাধানের খোঁজে দমকল ও পুলিসের সঙ্গে বৈঠক করল কলকাতা পুরসভা। বেশ কয়েকটি প্রস্তাব দিয়েছে দমকল ও পুলিস। বিকল্প ভাবনা রয়েছে পুরসভার মনেও। বিপজ্জনক বাড়ি? ঘাড়ের ওপর যমের নিশ্বাস? পুরকর দিয়েও মৃত্যুর সঙ্গে সহবাস?
পরিসংখ্যান বলছে কলকাতা পুরসভা এলাকায় এমন বিপজ্জনক বাড়ির সংখ্যা ৩০০০। যার মধ্যে অতি বিপজ্জক বাড়ির সংখ্যা ৫০০। বাড়ি ভেঙে পড়লে দমকল পৌঁছয়। পুলিস যায়। যান পুর প্রতিনিধি। কিন্তু, তার আগে? তার আগেই কী করা যেতে পারে তাই নিয়ে আজ বৈঠক করল পুরসভা। বৈঠকে দমকলের DG, নগরপাল ছাড়াও ছিলেন পুরসচিব। দমকলের পরামর্শ, রোগের চিকিত্সা নয়, রোগ নির্ণয় ও প্রতিরোধেই সময় ব্যয় করা হোক।
উঠে এসেছে বেশকিছু বিষয়-
১) বিল্ডিংয়ের ওপর নিয়মিত নজরদারি ও মেরামতি
২) বিল্ডিংয়ের দেওয়ালে গাছ না গজাতে দেওয়া
৩) বিল্ডিংয়ের ছাদ দিয়ে জল যাতে না চুঁইয়ে পড়ে
৪) কোথাও ফাটল দেখা দিলেন সঙ্গে সঙ্গে মেরামতি
৫) বেরোনোর কোনও পথেই যেন বাধা না থাকে
৬) বাড়ির নকশা মূল দরজার সামনে ঝোলানো থাকে
ভাবনা রয়েছে পুরসভার মনেও। সাধারণত কোনও বাড়ি বিপজ্জনক চিহ্নিত হলে নোটিস দেয় পুরসভা। এবার স্থির হয়েছে, বিপজ্জনক বাড়িগুলিতে যথারীতি নোটিস সাঁটাবে পুরসভা। পুর আইনের ৪১১ ধারার ১৪২ বিধিতে নোটিস দেওয়া হবে। নোটিস জারির ৬ মাসের মধ্যে বাড়ি সংস্কার করতে হবে। মেরামতি নিয়ে বাড়ির মালিকদের বিশেষ সুবিধা দেওয়ার ভাবনাও রয়েছে। বাড়ির যতটা অংশ জুড়ে ভাড়াটেদের বসবাস রয়েছে। সেই অংশের দ্বিগুণ পরিমাণ অংশে পুননির্মাণের প্ল্যানে অনুমতি দেবে পুরসভা। তবে এই পুননির্মাণের জন্য প্রত্যেক ভাড়াটের কাছ থেকে NOC নিতে হবে বাড়ির মালিককে। বাড়ির মালিক এই শর্তপালনে ব্যর্থ হলে সুযোগ রয়েছে ভাড়াটেদের কাছেও। ক্ষেত্রবিশেষে ভাড়াটে বা দখলদারকে বাড়ি পুরনির্মাণের অনুমতি দেওয়া হবে। ১২ বছরের বেশি বসবাসের প্রমাণ দিলেই অনুমতি মিলবে।
বিপজ্জনক বাড়ির মালিকানা নিয়ে মামলা ঝুলে থাকলে তার দ্রত নিষ্পত্তির কথাও মাথায় রয়েছে পুরসভার। ওইসব মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য পৃথক দেওয়ানি আদালত তৈরির জন্য আর্জি জানাবে রাজ্য। হাইকোর্টের কাছে নতুন আদালত তৈরির আর্জি জানানোর ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি, মামলা দ্রুত মেটাতে ট্রাইব্যুনাল তৈরির কথাও ভাবা হচ্ছে। কিন্তু, সব প্রস্তাবনাই রয়েছে এখনও ভাবনার স্তরে। আঠাশে সেপ্টেম্বর ফের বৈঠকে বসছে পুরসভা। ইতিমধ্যে বিপজ্জনক বাড়ি নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ও খড়্গপুর IIT-র বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া হবে।