নিজস্ব প্রতিবেদন : নাগরিকপঞ্জিতে বেছে বেছে বাঙালিদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। আর তাতেই উস্কানি পেয়েছে জঙ্গিরা। বাঙালিদের তাড়ানোর জন্য চক্রান্ত করছে  অসম সরকার। ষড়যন্ত্র চলছে। তিনসুকিয়ায় ৫ বাঙালি যুবককে খুনের ঘটনায় সেরাজ্যের বিজেপি সরকারকে কাঠগড়ায় তুললেন তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অসমের তিনসুকিয়া জেলার সাদিয়ার সাইধোয়াঘাট এলাকায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ৬ বাঙালি যুবককে তুলে নিয়ে যায় জঙ্গিরা। ব্রহ্মপুত্রের চরে দাঁড় করিয়ে গুলি করা হয় তাঁদের। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ৩ জনের। পরে হাসপাতালে আরও ২ জনের মৃত্যু হয়। কোনওমতে একজন পালিয়ে প্রাণে বাঁচেন। তিনসুকিয়ায় বাঙালি নিধনের ঘটনায় এদিন রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদে নামে তৃণমূল কংগ্রেস। কলকাতা শহরে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত বক্সী প্রমুখ।


আরও পড়ুন, অসমে বাঙালি হত্যাকাণ্ডের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেফতার আলফার দুই নেতা


সেই প্রতিবাদ মঞ্চ থেকেই অসমের ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। অসম সরকার বাঙালিদের তাড়ানোর জন্য চক্রান্ত করছে বলে তোপ দাগেন তিনি। জানান, অসমে এভাবে বাঙালি নিধন, বাঙালি খেদানোর বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিবাদ কর্মসূচি জারি থাকবে। ভবিষ্যতে আরও বড় আন্দোলনের পথে যাবে তৃণমূল।


এই ঘটনায় বিজেপি সরকারের কড়া সমালোচনা করেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও। তোপ দাগেন, নাগরিকপঞ্জির নামে মানুষে মানুষে বিভেদ তৈরি করছে বিজেপি সরকার। ঘৃণার বীজ পুঁতে দিচ্ছে। যার পরিণতি এই হত্যালীলা। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমনটা যে ঘটতে পারে, তা আগাম আশঙ্কা করেই শঙ্কিত হয়েছিলেন বলে দাবি করেন তিনি।


আরও পড়ুন, 'কুকথায় ট্যাগ লাইন' অনুব্রতকে নজিরবিহীন আক্রমণ শতাব্দীর


উল্লেখ্য, জাতীয় নাগরিকপঞ্জির খসড়ায় অসমে বসবাসকারী ৪০ লাখ বাঙালির নাম বাদ পড়েছে। অসমের তিনসুকিয়ায় এই হত্যালীলার পর আতঙ্কে প্রমাদ গুনছেন সেরাজ্যে বসবাসকারী বাঙালিরা। এই ঘটনা অন্যত্রও ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তাঁরা। যদিও, অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল এঘটনায় অযথা আতঙ্কিত না হতে রাজ্যবাসীকে আশ্বস্ত করেছেন। দুষ্কৃতীরা শাস্তি পাবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। এদিকে, কালকের ঘটনার পর থেকে আজ সকাল থেকে বনধ চলছে তিনসুকিয়ায়। স্তব্ধ জনজীবন।