‘ফের ক্ষমতায় এলে দেশকে টুকরো করে দেবে মোদী-শাহ জুটি’
হিটলার ক্ষমতায় আসার পর জার্মানি যা হয়েছিল তা এই দেশে হবে যদি মোদী-অমিত শাহ জুটি ক্ষমতায় আসে!
নিজস্ব প্রতিবেদন: মোদী সরকারকে ফের একদফা নিশানা করার জন্য ব্রিগেডের সভাকে বেছে নিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
শনিবার একঝাঁক বিরোধী নেতাদের সঙ্গে ব্রিগেডের সভায় দাঁড়িয়ে কেজরিওয়াল বলেন, এই সরকার দেশকে টুকরো করে দেবে। তাই এই সরকারকে এখনই বিদেয় করতে হবে।
আরও পড়ুন-বাহ! ক্যা সিন হ্যায়, ব্রিগেড দেখে তোপ মোদীর
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, এই দেশ মোদী ও অমিত শাহর জুটিকে নিয়ে ব্যতিব্যস্ত। এই মোদীজি বলেছিলেন, লাখ লাখ চাকরি দেব। কিন্তু চাকরি দেওয়া তো দূরের কথা নোটবন্দির ফলে আড়াই লাখ মানুষের চাকরি গিয়েছে।
কৃষকদের দুর্দশার প্রসঙ্গে কেজরিওয়াল বলেন, কৃষকদের সমস্যা নিয়ে এই সরকারের কান্নার শেষ নেই। এরা বলছে ফসল নষ্ট হলে ইনস্যুরেন্স কোম্পানির কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ নিয়ে নিতে। কিন্তু সেই টাকা পাচ্ছে না কৃষকরা। খোঁজ নিয়ে দেখুন ওইসব ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির মালিক কারা! সবাই মোদীর বন্ধু। তারা কোটি কোটি টাকা মুনাফা করছে। দেশের মহিলাদের এই দলের নেতারা কূকথা বলছে। আর ওইসব নেতাদের টুইটারে ফলো করছেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন-মুখ ফসকে বেরিয়ে গেল বেফাঁস কথা! ব্রিগেডে মমতাকে অস্বস্তিতে ফেললেন এই নেতা
দেশের সংখ্যালঘু ও দলিতদের প্রসঙ্গে কেজরি বলেন, দেশের দলিত ও মুসলিমরা আজ কষ্টে রয়েছেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে দলিত ও মুসলমানদের গণপিটুনিতে মেরে ফেলা হচ্ছে। এভাবে দেশেকে দুর্বল করছে বিজেপি। দেশ যখন থেকে স্বাধীন হয়েছে তখন থেকে একাধিক শক্তি এই দেশকে আঘাত করার চেষ্টা করেছে।
কেজরিওয়াল বলেন, গত ৭০ বছরে পাকিস্তানের স্বপ্ন ছিল এই দেশকে ভাগ কর, এই দেশকে টুকরো কর। ওই সত্তর বছরে পাকিস্তান যা করতে পারেনি তা গত ৫ বছরে করেছে বিজেপি। গত ৫ বছরে মোদী ও অমিত শাহ এই দেশের মানুষের মনে বিষ ঢুকিয়ে দিয়েছে। হিন্দুকে মুসিলমদের সঙ্গে লড়িয়ে দিয়েছে, মুসলমানকে খ্রিষ্টানের সঙ্গে লড়িয়ে দিয়েছে। এই জুটি যদি ফের ক্ষমতা আসে তা হলে এরা দেশকে টুকরো করে দেবে। এই দেশকে নষ্ট করে দেবে। এই দেশের সংবিধান বদলে দেব। নির্বাচনই বন্ধ করে দেবে। হিটলার ক্ষমতায় আসার পর জার্মানি যা হয়েছিল তা এই দেশে হবে যদি মোদী-অমিত শাহ জুডি় ক্ষমতায় আসে। আর যাই করুন এই জুটিকে ক্ষমতায় আসতে দেবেন না। আগামী নির্বাচন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের লড়াই নয় বরং এই সরকারকে তুলে ফেলার লড়াই।