ওয়েব ডেস্ক: বছর ঘুরলেই বিধানসভা ভোট। অথচ পুরভোটের পর থেকে, দলে যেভাবে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মাথাচাড়া দিচ্ছে, তাতে বেশ চিন্তিত তৃণমূল কংগ্রেস। দলের কাউন্সিলরদের বৈঠক জুড়েও রইল সেই টানাপোড়েন। ২০১৫-এ ঘর গোছাতে এখন থেকেই দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষায় জোর দিচ্ছে জোড়াফুল শিবির। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বৃহস্পতিবারই বসছে কলকাতা কর্পোরেশনের নতুন পুরবোর্ডের প্রথম অধিবেশন। তার আগে নির্বাচিত কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠক বসেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা। যাঁরা এবার প্রথম কাউন্সিলর হয়েছেন, তাঁদের একপ্রস্ত ক্লাস নিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম ও সুব্রত বক্সিরা। সেখানেই শোনা গেল সাবধানবাণী। 


পুর উন্নয়ন নিয়ে আয়োজিত বৈঠক। অথচ সেখানেও থেকে গেল গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ছায়া। শাসকদলের মাথাব্যথার কারণও যথেষ্ঠ। পুরভোটের ফল বেরনোর পর থেকে খাস কলকাতায় প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও অন্তর্কলহে জড়াচ্ছে তৃণমূল। কখনও কাউন্সিলর বনাম কাউন্সিলর, কখনও কাউন্সিলর বনাম বরো চেয়ারম্যান, আবার কখনও কাউন্সিলর বনাম বিধায়ক। সংঘাত চলছেই। 


২৯ নং ওয়ার্ডে হেরে যাওয়ার পর সাধন পাণ্ডের লবিকে কাঠগড়ায় তোলেন বিধায়ক পরেশ পাল।


১৭ নং ওয়ার্ডে জিতে যান নির্দলের হয়ে দাঁড়ানো তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ প্রার্থী। পরে দলে ফিরলেও স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বনছে না তাঁর।


৪০ নং ওয়ার্ডে তৃণমূলের বরো চেয়ারম্যানের বাধায় বসার ঘরই পাচ্ছিলেন না নবনির্বাচিত তৃণমূল কাউন্সিলর।


 
এমন সব ঘটনায় দলের অন্দরে নৈরাজ্যের অশনি সংকেত দেখছে ঘাসফুল শিবির। শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে স্বরূপ বিশ্বাসের গোষ্ঠীর বিরোধ, সিন্ডিকেট ইস্যুতে সব্যসাচী-সুজিতের বাকযুদ্ধ উদ্বেগ আরও বাড়িয়েছে। মঙ্গলবার সব কাউন্সিলরকে এক ছাতার তলায় পেয়ে সুযোগের সদ্বব্যবহার করতে ছাড়েননি শীর্ষ নেতারা। বুঝিয়ে দিয়েছেন, ঘাসফুলের ঘরে মৌষলপর্ব কোনওভাবেই বরদাস্ত করবে না দল।