ওয়েব ডেস্ক: দুমাস পরেও চার্জশিট জমা পড়েনি। জামিন পেয়ে গেলেন তোলাবাজির অভিযোগে গ্রেফতার তৃণমূল কাউন্সিলর অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়। পাঁচ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন।


আরও পড়ুন- কলকাতার কোন রুটে কত নম্বর বাস চলে জানেন?(দেখুন তালিকা)


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কী কারণে জেল হয় অনিন্দ্যর


দাপুটে এই কাউন্সিলরের কাল হয়ে দাঁড়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিচিত এক ব্যবসায়ীর কাছে  তোলা দাবি। হাসিনা  পুরো বিষয়টি জানান মুখ্যমন্ত্রীকে। আন্তর্জাতিক স্তরে দলের সম্মান ধাক্কা খাওয়ায়  চরম ক্ষুদ্ধ হন মুখ্যমন্ত্রী। নড়েচড়ে বসে পুলিস। ১২ লক্ষ টাকা তোলা চাওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়কে।


অনিন্দ্য কীর্তি!
কর্মজীবনের শুরু নয়ের দশকে। দৈনিক পত্রিকার সাংবাদিক হিসাবে কাজ শুরু। কিছুদিনের মধ্যে নিজের উদ্যোগে শুরু করেন পাক্ষিক কাগজ সুসংবাদ। কয়েকবছরের মধ্যে অডিও ভিস্যুয়াল মিডিয়ার সাংবাদিক।


বিধাননগরের বাসিন্দা অনিন্দ্য বরাবরই তৃণমূল নেতা সব্যসাচী দত্ত ঘনিষ্ঠ। সেইসূত্রে একসময়ের ছাত্র পরিষদ কর্মীর  তৃণমূলের সঙ্গে সখ্যতা শুরু। যদিও, ব্যালান্স গেমে বিশ্বাসী পোড় খাওয়া সাংবাদিক বরাবর সদ্ভাব বজায় রেখে চলেছেন বাম নেতৃত্বের সঙ্গেও। তাই বাম জমানাতেও সল্টলেক জুড়ে হোর্ডিংয়ের রমরমা ব্যবসা চালাতে অসুবিধা হয়নি অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের। পাকাপাকিভাবে রাজনীতির ইনিংস শুরু ২০১০-এ।


অনিন্দ্যনামা
২০১০ সালে বিধাননগর পুরভোটে টিকিট পান অনিন্দ্য। ভোটে জিতে ৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। সব্যসাচী দত্তের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতাকে এনক্যাশ করে এলাকায় রাজনৈতিক প্রভাব বাড়ানো শুরু। প্রভাব যত বাড়তে থাকে, সঙ্গী হয় বিতর্ক। তোলাবাজি, মারধর, হুমকি একের পর এক অভিযোগ উঠতে শুরু করে কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে।  অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়তে শুরু করে দলের অন্দরেও। অভিযোগ ওঠে তাঁর আচার আচরণ ঘিরেও।কিন্তু, সব্যসাচীকে ঢাল করে পিঠ বাঁচান অনিন্দ্য। ২০১৫-য় বিধাননগর পুরভোটে কপালে জুটে যায় টিকিট।  


অনিন্দ্যর দাদাগিরির আনকাট ছবি সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায় প্রথমবার ধরা পড়ে বিধাননগর পুরভোটের দিন। দাগী অপরাধীদের দিয়ে ভোট ম্যানেজ করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে। প্রতিবাদ করতে গিয়ে বেধড়ক মার খান প্রৌঢ় প্রীতি কুমার সেন। অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর ধস্তাধস্তির ছবি টিভি চ্যানেলে ব্রেকিং নিউজ হয়ে ছড়িয়ে যায়।  


৪১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হওয়ার পর অনিন্দ্য চ্যাটার্জির দাপট আরও বাড়ে।  অভিযোগ উঠেতে শুরু করে নতুন বাড়ি তৈরি হোক কিংবা সম্প্রসারণ, কাউন্সিলরকে তোলা না দিয়ে একটি ইট গাঁথা মুস্কিল। দলের অন্দরেই তাঁর বিরুদ্ধে জমা পড়ে ভুরি ভুরি অভিযোগ। ধীরে ধীরে দলের মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে উঠতে থাকেন। কিন্তু, পাত্তা দিতে চান নি দাপুটে কাউন্সিলর। দাদাগিরি চলতেই থাকে। দলীয় স্তরে বার বার সতর্ক করা হয় তাঁকে। ইঙ্গিত দেওয়া হয় তাঁকে সরিয়ে ওই ওয়ার্ডে পুনর্নিবাচন করা হতে পারে। কিন্তু, তাতেও বেপরোয়া অনিন্দ্য।