নিজস্ব প্রতিবেদন: একে একে বিধায়ক, কাউন্সিররা হাতছাড়া হচ্ছে তৃণমূলের। এবার টলিউডের শিল্পীদের দিকে নজর পড়েছে বিজেপির। আরএসএসের চিত্রভারতী তো রয়েইছে, একটা পৃথক সংগঠন খুলে ফেলেছেন সদ্য বিজেপিতে যোগদানকারী শঙ্কুদেব পণ্ডা। এহেন পরিস্থিতিতে সিনে টেকনিয়াশিয়ানদের সংগঠনের রাশ ধরে রাখতে তড়িঘড়ি টলিউডে সভা করলেন অরূপ বিশ্বাস-স্বরূপ বিশ্বাসরা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২০১১ সালে পরিবর্তনের পর টলিউডের সিনে টেকনিশিয়ানদের সংগঠন থেকে শুরু করে শিল্পীদের সংঠনের রাশ চলে যায় তৃণমূলের হাতে। তৃণমূল বিধায়ক অরূপ বিশ্বাস এবং তাঁর ভাই স্বরূপ বিশ্বাসের প্রভাব বাড়ে টলিউডে। সিরিয়াল ও সিনেমার অভিনেতা-অভিনেত্রীদের আকছার দেখা যায় তৃণমূলের মঞ্চে। তা সে ২১ জুলাই হোক, বা ভোটের প্রচার। ২০১৪ সালে লোকসভা ভোটে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছিলেন দেব, মুনমুন সেন ও সন্ধ্যায় রায়। এবারও দেব, নুসরত ও মিমিকে প্রার্থী করেছেন মমতা। ২০১৬ সালে বিধানসভা ভোটে বাঁকুড়ায় তৃণমূল প্রার্থী হয়েছিলেন সোহম। সেই টলিউডেই এবার থাবা বসাতে চাইছে গেরুয়া শিবির।            


লোকসভা নির্বাচনের পর বঙ্গীয় চলচ্চিত্র পরিষদ নামে বিজেপি সমান্তরাল সংগঠন তৈরি করার তোড়জোড় শুরু করে দেয়। উদ্যোগটা  বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডার। কলাকুশলীরা যাতে শিবির বদল না করেন সে জন্য তড়িঘড়ি ফেডারেশন অফ সিনে টেকনিশিয়ানস অ্যান্ড ওয়ার্কর্স অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার জরুরি সাধারণ সভা ডাকেন অরূপ-স্বরূপরা। তবে জল্পনা উড়িয়ে অরূপ বিশ্বাস বলেন,''এটা ক্রিয়েটিভ কাজ। রং দিয়ে হয় না। একচা চিন্তাভাবনা থাকে। রাজনীতির রং চড়ানো উচিত নয়। এটা অরাজনৈতিক সংগঠন''।     



নাম না করেও শঙ্কুদেব পণ্ডাকে নিশানা করেন স্বরূপ বিশ্বাস। তাঁর কথায়,''যত দূর জানি, একটা সিনেমা তৈরি করেছেন। তিনি অনিয়ম করেছিলেন। ফেডারেশনকে চিঠি দিয়ে সহযোগিতার অনুরোধ করেছিলেন। তখন সাহায্য করা হয়েছিল। হঠাত্ মেরুকরণের প্রসঙ্গ তুলছেন কেন উনি?''  


তাহলে টলিউডের শিল্পী-কলাকুশলীরা কি এবার গেরুয়া শিবিরের দিকেই ঝুঁকবেন? পরমব্রতর তাত্পর্যপূর্ণ মন্তব্য, গণতান্ত্রিক-রাজনৈতিক পরিস্থিতির পরিবর্তন হলে দলবদল একটা নিয়ম। অন্য রাজনৈতিক দল সংগঠন করতেই পারে। যাঁরা যুক্ত হবেন, তাঁরা ভেবেচিন্তেই সিদ্ধান্ত নেবেন।  


তবে সূচনালগ্নেই সুর কেটেছে পদ্ম শিবিরে। সূত্রের খবর, আরএসএস-এর পক্ষ থেকে এ রাজ্যের বিজেপি নেতাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আলাদা কোনও সংগঠন নয়, যদি কলাকুশলীরা থাকে তবে সঙ্ঘের শাখা সংগঠন চিত্রভারতীতে তাঁদের যুক্ত করতে হবে। অর্থাত্‍ রাশটা শঙ্কুদেবের হাতে দিতে নারাজ সঙ্ঘ। 


আরও পড়ুন- মমতার কাটমানি মন্তব্যে ব্যুমেরাং, ডিগবাজি দিয়ে তৃণমূলের দাবি, ৯৯.৯৯% নেতাই সত্‍