কমলিকা সেনগুপ্ত


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দিল্লিতে হয়েছে বিজেপি বনাম আম আদমি পার্টি। বাংলাতেও ঠিক একই রকম রাজনৈতিক মেরুকরণের প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছে বলে মনে করছে তৃণমূল। পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে আপের জায়গায় খালি ঘাসফুল। কেজরীর জায়গায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একুশের বিধানসভায় এমন সমীকরণের কথা মাথায় রেখে রণনীতি সাজাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। ঘাসফুল শিবিরের ধারণা, পশ্চিমবঙ্গে আগে থেকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী বেছে ভোটে নামবে না বিজেপি। সেক্ষেত্রে প্রচারমুখ হবেন নরেন্দ্র মোদীই। আর ভোটে প্রচারের অভিমুখ হতে চলেছে, মোদী বনাম মমতা।         


তৃণমূল নেতৃত্বের মতে, মমতার ক্যারিশ্মার সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার মতো মুখ বিজেপিতে নেই। ঠিক যেমন দিল্লিতে অরবিন্দ কেজরীবালের সমকক্ষ মুখ সামনে তুলে ধরতে পারেনি গেরুয়া শিবির। তাই বলে বিজেপিকে উড়িয়ে দেওয়া যাবে না। দিল্লির ক্ষমতায় তারা। লোকসভা ভোটে ৪০ শতাংশ ভোটও নিশ্চিত করেছে। বিজেপির মতো পেশাদার রেজিমেন্টেড দলের সঙ্গে লড়াই করতে গেলে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। নেপথ্যে রয়েছে আরএসএসের মতো সংগঠনও।       


তৃণমূলের রণনীতি


পঞ্চায়েত ভোটে যে ভুল হয়েছে,তার পুনরাবৃত্তি হবে না পুরসভায়। কোনওরকম হিংসায় দল যাতে জড়িয়ে না পড়ে তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। কারণ, পঞ্চায়েত ভোটের হিংসায় ধাক্কা লেগেছে দলের ভাবমূর্তি। তার খানিকটা অ্যাডভান্টেজ লোকসভা ভোটে পেয়েছে বিজেপি।    


বামেদের সম্পূর্ণ ভোট বিজেপির দিকে গিয়েছে বলেও মনে করছে না তৃণমূল। এমন সরলীকরণ করা ঠিক নয়। কারণ, অনেক জায়গাতেই বিজেপির ভোট যে হারে বেড়েছে, বাম ভোট ততটা কমেনি।


রাজ্য সরকারের সামাজিক কাজের সাফল্যের প্রচার করা হবে জোরকদমে। পাশাপাশি এও দেখা যাবে, কতজন মানুষের ঠিকঠিক পরিষেবা পৌঁছেছে। কারা কারা লাভবান হয়েছেন।  


মোদী বনাম দিদি


২০১৯ সালে লোকসভা ভোটে মোদীকে দেখে ভোট দিয়েছিলেন দিল্লির ভোটাররা। ৭টি আসনই জিতেছিল বিজেপি। কিন্তু বিধানসভায় গেরুয়া শিবিরের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী কেউ ছিলেন না। মোদীই ছিলেন প্রচারমুখ। অন্যদিকে আম আদমি পার্টি লড়েছে অরবিন্দ কেজরীবালকে সামনে রেখে। ভোটের ফল বেরোতেই স্পষ্ট, লোকসভায় মোদীকে চাইলেও বিধানসভায় বিশ্বস্তমুখ না থাকার খেসারত দিতে হয়েছে পদ্ম শিবিরকে। 


বাংলাতে বিজেপি কাউকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী করবে না বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। দিল্লিতে কেজরীবালের মুখই ছিল প্রচারের অভিমুখ। সেটা ঠিক করে দিয়েছিলেন প্রশান্ত কিশোর। পোস্টার, ব্যানারে কেজরীর মুখেই চাওয়া হয়েছে ভোট। এর সঙ্গে প্রশান্ত কিশোর নির্দেশ দিয়েছিলেন, নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে কিচ্ছু বলা যাবে না। তাতে বিজেপির কিছু ভোট টানা যেতে পারে না। কারণ, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তো আর মোদী হবেন না। পশ্চিমবঙ্গেও তার ব্যত্যয় হবে না। এখানে তৃণমূল ও সরকারের মুখ একজনই, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর মমতার বিরুদ্ধে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অনস্বীকার্য, মমতা-মোদী দুজনেই ক্রাউডপুলার। পশ্চিমবঙ্গে জনপ্রিয়তায় দু'জনের ধারেকাছে কেউ নেই। তবে বিজেপির একটাই সমস্যা, বাংলার সংগঠনে 'লিডার' নেই, যে মুখ মমতাকে টেক্কা দিতে পারবে। সেটাই তৃণমূলের অ্যাডভান্টেজ। মোদীর সঙ্গে মমতার টক্কর হবে বুঝে রণনীতি সাজিয়েছেন প্রশান্ত কিশোর। সোমবারই সূচনা হতে চলেছে তৃণমূলের প্রচার অভিযান। 


আরও পড়ুন- নিজেদের চরকায় তেল মাখান, পোস্টারকাণ্ডে বাগানকে কটাক্ষ লাল হলুদ শীর্ষ কর্তার