নিজস্ব প্রতিবেদন:  'আব্বাস সিদ্দিকির সময় সবাই ওঠে দাঁড়িয়েছিল। অধীর চৌধুরীর বেলায় কেউ দাঁড়ায়নি'। ব্রি়গেড সমাবেশের পর বিরোধী জোটকে পাল্টা খোঁচা দিলেন তৃণমূল নেতা, মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। বললেন, 'ব্রিগেড করা মানেই মানুষের সমর্থন পেয়ে গেলেন, সেটা নয়'।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

একুশের ভোটের জোট বেঁধে লড়াইয়ের ডাক। ব্রিগেডে এই প্রথম একমঞ্চে বাম-কংগ্রেস। সঙ্গে জোটের আর এক শরিক ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট বা ISF সুপ্রিমো আব্বাস সিদ্দিকি। একযোগে তৃণমূল (TMC) ও বিজেপির (BJP) বিরুদ্ধে অল আউট আক্রমণ শানালেন সকলেই। তবে আব্বাসকে নিয়েই সমাবেশে হাজির জনতার উন্মদনা ছিল সব বেশি। তিনি বলতে উঠতেই ব্রিগেডের ময়দানে যেমন শোনা গেল শব্দের তীব্র গর্জন, তেমনি আবার অস্বস্তিকর মুহুর্তও  তৈরি হল মঞ্চে। 


আরও পড়ুন: 'এ ঝাঁকি হ্যায় সরকার বদালনা আভি বাকি হ্যায়', 'রামধনু' জনতা দেখে প্রত্যয়ী Adhir


ব্রিগেডে তখন ভাষণ দিচ্ছিলেন অধীর চৌধুরী (Adhir Chowdhuri)। মঞ্চে উঠলেন আব্বাস সিদ্দিকি। তাঁকে দেখে 'ভাইজান, আব্বাস' বলে গর্জন শুরু করেন আইএসএফ (ISF) সমর্থকরা। সিপিএম নেতারাও তাঁর সঙ্গে কুশল বিনিয়ম করেন। স্রেফ ভাষণ থামানোই নয়, ততক্ষণে পোডিয়াম ছাড়ার পথে অধীর। কোনওমতে বুঝিয়ে-সুঝিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন বিমান বসু (Biman Bose), মহম্মদ সেলিম (Md Salim)। এরপর ফের ভাষণ শুরু করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। ঘটনাটি যে শাসক শিবিরের নজর এড়ায়নি, নিজের প্রতিক্রিয়ায় কার্যত তা বুঝিয়ে দিলেন ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)।  


আরও পড়ুন: রাজ্যে ক্ষমতায় আসলে কী পরিকল্পনা? ব্রিগেডে বিকল্প তুলে ধরলেন Surjya Kanta


ফিরহাদ হাকিমের  আরও বক্তব্য, 'বামপন্থীদের হাতে হাজারে হাজারে কংগ্রেস কর্মী মারা গিয়েছেন। এখন তাঁরা হাত মিলিয়েছে। বামেদের কিছু নিষ্ঠাবান কর্মী আছেন, তাঁরা ব্রিগেড করেন। ব্রিগেড করা মানেই মানুষের সমর্থন পেয়ে গেলেন, সেটা নয়। ১৯৯৩ সালে আমরা যা ব্রিগেড করেছিলাম, তাতে পরের দিন ক্ষমতায় আসার কথা ছিল। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস করার পরেই মানুষের সেই ভরসা অর্জন করা গিয়েছে'। তাঁর কথায়, 'বাংলার মানুষ বিশ্বাস করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনিই তৃতীয়বারের জন্য আবার মুখ্যমন্ত্রী হবেন, বাংলার মানুষ এটা বাংলার দেওয়ালে লিখে দিয়েছেন'। আর বিজেপি? স্পষ্ট জবাব, 'মোদীকে সরানোর ক্ষমতা যদি সারা ভারতে কারও থেকে থাকে, তাহলে তাঁর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়'।