নিজস্ব প্রতিবেদন: 'রাজনৈতিক কারণে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে চিঠি পাঠানোর আগে কোভ্যাক্সিন কেলেঙ্কারির নিষ্পত্তি করুন'। ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন তৃণমূলে রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। টুইটে লিখলেন, 'হাজার হাজার পড়ুয়া সমস্যায় রয়েছে। বিদেশ পড়তে যাওয়ার জন্য দু'বার ভ্যাকসিন নিতে হচ্ছে। আপনারা কী করছেন'?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

টিকা নেওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন খোদ তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ড তোলপাড় গোটা রাজ্য। জালিয়াতিতে অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেবের 'হাতযশে' তাজ্জব বনে গিয়েছেন তদন্তকারীরা। তদন্তে উঠে আসছে একের এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। কিন্তু ঘটনা হল, রাজ্য পুলিস বা সিটের তদন্তের আস্থা নেই বিরোধীদের। সিবিআই বা কোনও কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত করানোর আর্জি জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধনকে চিঠি লিখেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অভিযোগ কাঠগড়ায় তুলেছেন শাসকদলের নেতা-মন্ত্রী-সাংসদদের।


জানা দিয়েছে, শুভেন্দু অধিকারী চিঠি প্রেক্ষিতেই এবার ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। মুখ্যসচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে চিঠি পাঠিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ। ২ দিনের বিস্তারিত রিপোর্ট তলবই শুধু নয়, ওই চিঠিতে স্পষ্ট বলা হয়েছে, শুধুমাত্র কো উইন পোর্টালের মাধ্যমে টিকাকরণ কর্মসূচি চালাতে হবে। না হলে টিকা নেওয়ার পর ধন্দে পড়ে যাবেন সংশ্লিষ্ট সকলেই।   


 



এদিকে আবার ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ড ও রাজ্যে যথেচ্ছ নীলবাতির ব্যবহার নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে কলকাতা হাইকোর্টও। আদালতের প্রশ্ন, রাজ্য কি জানত না দেবাঞ্জন যুগ্ম কমিশনার নয়? ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ড নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে হাইকোর্টে। এদিন সেই মামলারই শুনানি ছিল প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চে।