SSC: শিক্ষক নিয়োগে `বেনিয়ম`; পার্থ চট্টোপাধ্যায়ই ব্যাখা দিতে পারবেন: Kunal
নবম-দশম শ্রেণিতে শিক্ষক নিয়োগ মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের।
নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগে 'অনিয়ম'। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) কোটেই কি বল ঠেললেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)? রাখঢাক না রেখেই বললেন, 'এসব ঘটনা ব্রাত্য বসু জমানা ঘটেনি। তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ই যাবতীয় ব্যাখ্যা দিতে পারবেন'।
নবম ও দশম শ্রেণীর নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় সিবিআই (CBI) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। শুধু তাই নয়, আদালতে তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়েছেন SSC-র প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহা (SP Sinha)। তাঁকে ফের জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ।
আরও পড়ুন: Anubrata Mandal: 'এখনও পুরোপুরি সুস্থ নন', CBI-কে চিঠি SSKM কর্তৃপক্ষের
কেন? এর আগে, এই মামলার শুনানি চলাকালীন SSC-র প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়। তাঁর বয়ান রেকর্ডও করা হয়েছিল। তখন এসপি সিনহা আদালতকে জানিয়েছিলেন, কোনও বৈঠক হয়নি। কিন্তু হাইকোর্টে যে তথ্য জমা পড়েছে, তাতে উঠে এসেছে, ২০১৯-র পয়লা নভেম্বরে খোদ শিক্ষামন্ত্রী আপ্ত সহায়কের চেম্বারে বৈঠক হয়েছিল। এমনকী, সেই বৈঠকে হাজির ছিলেন SSC-র প্রাক্তন উপদেষ্টা এসপি সিনহা!
আরও পড়ুন: Big Breaking: ভাদু শেখের খুনের ঘটনার তদন্তে CBI, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের
শিক্ষক নিয়োগে কেন এই 'বেনিয়ম'? এদিন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, 'একটা সময়ে শিক্ষকদের একাংশের বিক্ষোভ চলছিল। সেই ধর্নার পর মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী ১০ জনের একটি কমিটি গঠন করে দেন। যদি কোথাও কোনও অভিযোগ থাকে, মুখ্যমন্ত্রীর দিক থেকে যা করার , তিনি করে দিয়েছিলেন। এরপরেও যদি কিছু থাকে, সেটা প্রশাসনিক ব্য়াপার, আমার জানার কথা নয়'। সঙ্গে যোগ করেন, 'এসব ঘটনা ব্রাত্য বসুর জমানায় ঘটেনি। তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ই যাবতীয় ব্যাখ্যা দিতে পারবেন'।
ঘটনার সূত্রপাত ২০১৯ সালে। SLST মাধ্যমে নবম ও দশম শ্রেণিতে ইতিহাস শিক্ষক পদে নিয়োগ করে স্কুল সার্ভিস কমিশন বা SSC। কীভাবে নিয়োগ? ৫ সদস্যের কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে চাকরি পান সফল পরীক্ষার্থীরা। অভিযোগ, প্যানেলে অনেক পিছনে নাম থাকা সত্ত্বেও শেখ ইনসান আলি নামে এক দু'বার রেকমেন্ডশন লেটার পাঠানো হয়েছে। তাও আবার SMS-র মাধ্যমে! এমনকী, সেই সুপারিশ অনুযায়ী চাকরিও করছিলেন তিনি। শেখ ইনসান আলি চাকরি বাতিল করে দিয়েছে হাইকোর্ট।