একশো দিনে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যপূরণে অসফল `দিদিকে বলো`, বাড়ানো হল সময়সীমা
বৃহস্পতিবার বৈঠকে ছিল পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামের নেতৃত্ব।
নিজস্ব প্রতিবেদন: 'দিদিকে বলো' সাফল্য পেয়েছে। তবে লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছতে পারেনি। এমনটাই মনে করেন তৃণমূলের রণনীতিকার প্রশান্ত কিশোর। ডিসেম্বর থেকে সময়সীমা তাই বাড়ানো হল ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত।
লোকসভা ভোটে ধাক্কা খাওয়ার পর প্রশান্ত কিশোরকে ভোট রণনীতিকার হিসেবে নিয়োগ করেছে তৃণমূল। তারপরই 'দিদিকে বলো'র মতো কর্মসূচি মাঠে নামান প্রশান্ত। মানুষের অভাব-অভিযোগ শোনা হলেও আসলে বাংলায় তৃণমূলের জনভিত্তিতে যাচাই করে নেওয়াই ছিল প্রশান্তের লক্ষ্য। তবে ডিসেম্বর পর্যন্ত ওই কর্মসূচি লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেনি। ১০০ দিনে টার্গেট পূরণ করতে পারেনি 'দিদিকে বলো'। সে কারণে আরও ১২ দিন বাড়ানো হল। তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ১২ জানুয়ারি। সব জেলায় প্রায় ২০ শতাংশ কাজ বাকি। এদিন বিভিন্ন জেলার প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠকে বসে ওই তারিখের পর্যন্ত কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব।
বৃহস্পতিবার বৈঠকে ছিল পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামের নেতৃত্ব। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সীর সঙ্গে ছিলেন প্রশান্ত কিশোরও। খড়গপুরে ভালো ফল করায় প্রশংসিত হয়েছেন জেলার নেতারা। প্রশান্ত কিশোর মনে করিয়ে দিয়েছেন, আগামী বিধানসভা পর্যন্ত ঢিলে দেওয়া চলবে না। এলাকায় পড়ে থেকে দাপট ধরে রাখতে হবে নেতাদের।
সূত্রের খবর, প্রাথমিক রিপোর্ট কার্ড বলছে, মোটামুটি কমবেশি সব নেতাই 'দিদিকে বলো' কর্মসূচি পালন করছেন। কিন্তু এমনও অনেকে আছেন, যাঁরা সেই নির্দেশ মানছেন না। ফাঁকি মারছেন। তাঁদের নাম ইতিমধ্যেই জমা পড়েছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে। কারা কারা ফাঁকি মারছেন? তৈরি হয়েছে তালিকাও। তালিকায় যাঁদের নাম আছে, তাঁদের প্রত্যেককে আলাদা আলাদা করে ডেকে পাঠানো হচ্ছে। ডেকে সতর্ক করা হচ্ছে তাঁদের। সেইসঙ্গে আরও বেশকিছু নতুন নির্দেশও দেওয়া হচ্ছে। যারমধ্যে বেশ উল্লেখযোগ্য, 'ফাঁকিবাজ' সেইসব নেতাদের এখন থেকে নিজেদের কাজ বা কর্মসূচি ফেসবুক লাইভ করে দেখাতে হবে। অর্থাৎ জনসংযোগের 'লাইভ' প্রমাণ জমা দিতে হবে।
আরও পড়ুন- কেরলের মতো বাংলাতেও CAA বাতিলের প্রস্তাব বিধানসভায় পাস করানোর দাবি বামেদের