Mahua Moitra: ফের বিতর্কে মহুয়া, তৃণমূল নেত্রীর নয়া ট্যুইট নিয়ে পুলিসে অভিযোগ
টুইটে `যৌন হয়রানি` অভিব্যক্তিটিকে মি. গগৈয়ের সঙ্গে তুলনা করেছেন মহুয়া৷ এরপরই একটি স্থানীয় সংগঠন, জাতীয় সংগ্রামী সেনা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে সাংসদের বিরুদ্ধে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্য়ুরো: অসমের শিবসাগর জেলায় তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্রার বিরুদ্ধে এবার পুলিসে অভিযোগ দায়ের করা হল। তার ট্যুইটের ভিত্তিতে এই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ট্যুইটে 'যৌন হয়রানি' অভিব্যক্তিটিকে মি. গগৈয়ের সঙ্গে তুলনা করেছেন তিনি৷ এরপরই একটি স্থানীয় সংগঠন, জাতীয় সংগ্রামী সেনা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে সাংসদের বিরুদ্ধে।
দাবি, তার ট্যুইটের মাধ্যমে সমগ্র অসমিয়া সম্প্রদায়কে অপমান করা হয়েছে এবং তার কাছ থেকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার দাবি করেছে ওই দল। প্রসঙ্গত, অসংসদীয় শব্দের একটি তালিকা উল্লেখ করে এই ট্যুইটটি পোস্ট করেছিলেন বলে অভিযোগ। তিনি ট্যুইটে লেখেন, "অসংসদীয় শব্দগুলির প্রতিস্থাপনের বিষয়ে আমার নতুন টুইটার সিরিজের প্রথম শব্দ। নিষিদ্ধ শব্দ- যৌন হয়রানি প্রতিস্থাপন- মিস্টার গগৈ,"।
তারপরই সমালোচনার সূত্রপাত। বিশেষ করে আসামের নেটিজেনদের ক্ষোভ 'গগৈ' অসমীয়া জনগণের এক বৃহৎ অংশের উপাধি এবং এই টুইটটি সেই সমগ্র সম্প্রদায়ের অপমান। TMC নেত্রী শুক্রবার স্পষ্ট করেন যে তিনি গগৈ সম্প্রদায়কে জড়িয়ে কোনও মন্তব্য করছেন না। ট্যুইট করে তিনি লেখেন, "শুধুমাত্র সেই সংঘীদের জন্য যারা টুইট টুইস্টিং করে বলছেন যে আমি সমস্ত গগৈকে সম্প্রদায়তে টার্গেট করেছি, তাদের জন্য পুরোটা বলছি, মিস্টার রঞ্জন গগৈ। মাননীয় সাংসদ, রাজ্যসভা"।
প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের একজন প্রাক্তন কর্মী ২০১৯ সালে গগৈকে যৌন হয়রানির অভিযোগে অভিযুক্ত করেছিলেন। যিনি তখন দেশের প্রধান বিচারপতি ছিলেন এবং শীর্ষ আদালত বিষয়টির স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছিল। তিন বিচারপতির একটি ইন-হাউস কমিটির পরে গগৈকে ক্লিন চিট দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন, রাজস্থানে 'অভিনন্দন' কর্মসূচি, ডঃ সুভাষচন্দ্রের ডাকে হাজির রাজনৈতিক সতীর্থরা