মৌপিয়া নন্দী: ফের সল্টলেকে সুজিত বসু এবং সব্যসাচী দত্তের 'দ্বন্দ্ব' প্রকাশ্যে। সুজিত বসুর অনুগামীদের রাতের অন্ধকারে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ। চামেলী নস্করের অনুগামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ। গুরুতর আহত ৩। এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিস। ঘটনার পর থেকে ফেরার দুষ্কৃতীরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অভিযোগ, শনিবার রাতে সল্টলেকের ত্রিনাথ পল্লি এলাকায় প্রাক্তন পুরপিতা প্রবীর সর্দার এবং এলাকার বিধায়ক তথা মন্ত্রী সুজিত বসুর অনুগামীদের উপর চড়াও হয় একদল দুষ্কৃতী। ঘরে ঢুকে সুজিত বসু অনুগামীদের বেধড়ক মারধর করা হয়। সুজয় দাস, ঝন্টু, বিকাশ, কুখ্যাত দুষ্কৃতী পচা, আদু-বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। আক্রান্তদের দাবি, দুষ্কৃতীরা বিধাননগরের পুরমাতা চামেলী নস্করের অনুগামী। বিধাননগর পুরনিগমের নির্বাচনের পর বিজেপি ছেড়ে এরা তৃণমূলে এসেছিল। এই ঘটনার পর থেকে আতঙ্কে ত্রিনাথ পল্লির বাসিন্দারা।


যদিও সব্যসাচী দত্তের সঙ্গে তাঁর দ্বন্দ্বের তত্ত্ব মানতে নারাজ সুজিত বসু। তিনি জানান, এটা একটা ক্লাবের মধ্যে ঝামেলা। এতে কোনও রাজনীতি নেই। নিজেদের ঝামেলা কথাবার্তা বলে মিটিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। এখানেই শেষ নয়, সব্যসাচী দত্তকে বরং ক্লিনচিট দিয়েছেন বিধাননগরের বিধায়ক। একই ভাবে গোটা ঘটনা তৃণমূলের 'গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব' মানতে নারাজ  পুরমাতা চামেলী নস্করও। তার দাবি, যাঁরা এই ধরনের কাজ করেছে, তাঁরা প্রত্যেকেই সমাজবিরোধী। পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে।


এই ঘটনায় বিধাননগর দক্ষিণ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন আক্রান্ত সুজিত অধিকারী, সন্তু মণ্ডল, জয়ন্ত দাস। এরপরই এলাকায় মোতায়ন করা হয়েছে বিধাননগরের বিশাল পুলিস। ইতিমধ্যেই মূল অভিযুক্ত সুজয় দাসকে গ্রেফতার করেছে বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিস। রবিবার অভিযুক্তকে বিধাননগর আদালতে তোলা হবে। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাসি চালাচ্ছে বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিস।



(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)