`মানসিকতার পরিবর্তন প্রয়োজন`, কংগ্রেসকে খোঁচা তৃণমূলের
অনেকদিন ধরেই কংগ্রেসের সঙ্গে একটা জোটের কথা চলছে। যদিও মাঝে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেন যে বার বার বলা সত্তেও কংগ্রেস কোনও ব্যাবস্থা নিচ্ছে না।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ফের কংগ্রেসকে (Congress) বার্তা তৃণমূলের (TMC)। মানসিকতার পরিবর্তন প্রয়োজন। বিরোধীদের মধ্যে আমরা সবাই সমান, নিজেদের মধ্যে ঐক্য মজবুত হোক। তৃণমূলের পক্ষ্য থেকে কংগ্রেসকে এই বার্তা দেওয়া হয়েছে।
অনেকদিন ধরেই কংগ্রেসের সঙ্গে একটা জোটের কথা চলছে। যদিও মাঝে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেন যে বার বার বলা সত্তেও কংগ্রেস কোনও ব্যাবস্থা নিচ্ছে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যে স্টিয়ারিং কমিটি গঠন এবং এবং জোটের নির্দিষ্ট দাবি তৈরির কথা বলা হলেও সেই বিষয়ে কংগ্রেস কোনও পদক্ষেপ করছেনা জোট নিয়ে কোনও আগ্রহ দেখাচ্ছেনা বলে অভিযোগ করা হয় তাদের তরফে।
বুধবার ডেরেক ও'ব্রায়েনের (Derek O'Brayen) টুইটের মূল বক্তব্য একটাই এবং তা হল বিজেপি কে পরাস্ত করা। সেই জন্যই তারা বার বার সকল বিজেপি (BJP) বিরোধী দলগুলিকে এক ছাতার তলায় এসে একটি মজবুত ঐক্য তৈরির দাবি জানাচ্ছে। এই লক্ষ্যে তৃণমূল এগোতে চাইছে এবং বাকিদেরকেও আহবান করছে একটি মঞ্চ তৈরি করে আগামি দিনে বিজেপি কে পরাস্ত করতে।
আরও পড়ুন: JMB terrorist: এনআইএ-র জালে সন্দেহভাজন জঙ্গি, গ্রেফতার সুভাষগ্রাম থেকে
এই বিষয়ে কংগ্রেস নেতা অধির চৌধুরি (Adhir chowdhury) জানিয়েছেন যে, "এতদিন কংগ্রেসকে বহু খারাপ কথা বলা হয়েছে যে কংগ্রেস পচে গেছে। কংগ্রেস পচা ডোবা। কেউ কেউ এও বলেছে যে তৃণমূল নাকি কংগ্রেসকে টেক ওভার করবে। এই সব কথা বলার পরে গতকাল রাতে যখন উপনির্বাচনের ফলাফল বের হল তখন দেখা গেল যে কংগ্রেস মানে ভারত আর ভারত মানেই কংগ্রেস। কারন কংগ্রেসের সর্বভারতীয় উপস্থিতি আছে। তারপর যখন তৃণমূলের কোনও নেতা কোনও কিছু বলার চেষ্টা করে তাদের প্রথমেই বলব যে মমতা ব্যানার্জির কাছে তা আশা করা যায় না। এই মমতা ব্যানার্জি ২০ আগস্ত সনিয়া গান্ধির সঙ্গে ১৯ দলের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এবং বিজেপির বিরুদ্ধে নেওয়ার জন্য ১১ দফা কর্মসূচী অনুমদন করেন। ৬ সেপ্তেম্বরের পর থেকে তৃণমূল একটানা কংগ্রেসকে আক্রমন করছে। আমার ধারণা, তৃণমূল দল খুব বেশি ভাবে প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor) নামক এক ভোট কুশলি যে তাদের দলের মার্কেটিং মানেজার তাঁর উপর বেশি নিরভরশীল হয়ে পরছে এবং ভাইপোর উপর নির্ভর করছে। আমি সন্দিহান মমতা ব্যানার্জির কতটা নিয়ন্ত্রন আছে এই ব্যাপারে। আজকে যে বক্তব্যটা বেরিয়ে আসছে সেটা আমরা প্রথমদিন থেকে বলে আসছি। আমরা এখান থেকে চলে যাইনি যে বিজেপি কে হারাতে সনস্ত দলকে এক হতে হবে। তারা সরে গেছিলেন, তারা যদি ভুল বুঝতে পারেন তাহলে অবশ্যই সেটা আমাদের জন্য সুখবর"।