নিজস্ব প্রতিবেদন: এবার নতুন মাত্রা পেল রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্যের সরকারের সংঘাত।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাজ্যপাল সংবিধান মানছেন না। সংবিধান অনুযায়ী কাজ করতে ব্যর্থ, রাজ্যের এক্তিয়ারে হস্তক্ষেপ করছেন। পাশাপাশি উনি রাজ্যের বিরোধীদের উত্সাহ দেওয়ার কাজ করছেন। দিল্লির নির্দেশে চলছেন। এমন একাধিক অভিযোগ তুলে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের অপসারণের দাবি তুলল তৃণমূল(TMC) কংগ্রেস। এনিয়ে স্মারকলিপি দেওয়া হল রাষ্ট্রপতির কাছে।


আরও পড়ুন-গাড়িতে এক বান্ধবীর সামনেই অন্যজনকে শ্লীলতাহানি, ২ বন্ধুর নামে FIR


বুধবার তৃণমূল ভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে দলের সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় বলেন,  আমাদের রাজ্যে যেসব রাজ্যপাল এতদিন এসেছেন তাঁরা নিজ নিজ ক্ষেত্রে বিশিষ্ট  ছিলেন। কিছুদিন আগে আমাদের রাজ্যে রাজ্যপাল হয়ে এসেছিলেন মহাত্মা গান্ধীর প্রপৌত্র গোপালকৃষ্ণ গান্ধী। গত বছর জুলাই মাসে আমাদের রাজ্যে রাজ্যপাল নিয়োজিত হন জগদীপ ধনখড়। প্রথমদিন থেকে মানণীয় রাজ্যপাল, রাজ্য সরকার, পুলিস প্রশাসনের বিরুদ্ধে নিয়মিত ওয়াইল্ড অ্যালিগেশন আনছেন। কখনও প্রেসি ব্রিফিং, কখনও সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে, কখনও  টুইটারে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন তিনি। বাংলার রাজ্যপাল যা করছেন দেশের কোনও রাজ্যপাল তা করেননি।



সুখেন্দুশেখর আরও বলেন, সংবিধান বলছে , রাজ্যপাল নিয়মতান্ত্রিক প্রধান। তিনি যা কিছু করবেন তা রাজ্য মন্ত্রিসভার সঙ্গে পরামর্শ করেই করবেন। তিনি কিছু বিষয় জানতে চাইতে পারেন। এই টুকুই।  কিন্তু সব সাংবিধানিক লক্ষণরেখাকে তিনি বারবার অতিক্রম করছেন। এতে রাজ্যবাসীর এই ধারনাই হয়েছে যে দিল্লির শাহেনশাহ-র নির্দেশেই রাজ্যপাল আমাদের রাজ্য এসেছেন রাজ্যকে অসুবিধেয় ফেলতে।  এবং বিরাধীদের এজেন্ডাকে উত্সাহ দিতে। এনিয়ে অনেক ধৈর্যের পর গতকাল তৃণমূলের পক্ষ থেকে গতকাল আমারা রাজ্যপালের বিরুদ্ধে একটি স্মারকলিপি(৬ পাতা)রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দিয়েছি। তাতে সাক্ষর করেছেন, সুদীপ বন্দ্যাপাধ্যায়, কাকলি ঘোষ দোস্তিদার, ডেরেক ওব্রায়েন ও আমি।


আরও পড়ুন-করোনার নয়া স্ট্রেনে চোখ রাঙানি, বাড়ল ব্রিটেন-ভারত উড়ান বন্ধের সময়সীমা 


তৃণমূল সাংসদ আরও জানান, ওই স্মারকলিপিতে রাজ্যপাল কখন কী বলেছেন তার বিস্তারিত দেওয়া হয়েছে। উনি মাণনীয় মুখ্যমন্ত্রীকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছেন। এমন জিনিস কোনও রাজ্য হয়নি। তিনি পুলিসকে ভয় দেখাচ্ছেন। এই ক্ষমতা ওঁকে কে দিয়েছে! উনি বলেছেন নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু ও অবাধ হয় তা তিনি দেখবেন। উনি কে!' এইসব কথা বিবেচনা করেই রাজ্যপালের অপসারণের দাবি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। 


উল্লেখ্য, কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাতে রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে দেশের বহুবার বিতর্ক হয়েছে। এনিয়ে মামলাও গড়িয়েছে আদালতে। সংবিধান অনুযায়ী কোনও রাজ্যের রাজ্যপালকে সরিয়ে দিতে পারেন রাষ্ট্রপতি। কিন্তু সেক্ষেত্রেও  অপসারিত রাজ্যপাল আদালতে যেতে পারেন। সেক্ষেত্রে ওই রাজ্যপালকে সরানোর স্বপক্ষে প্রয়োজনীয় নথি চাইতে পারে আদালত। ফলে গোটা বিষয়টাই অত্যন্ত জটিল।