TMC: `১০ বছরে বরাদ্দ বৃদ্ধি দয়া নয়`, কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীকে জবাব তৃণমূলের
`আদালতের দরজা খোলা আছে। আদালতে চলে যান, নথিপত্র জমা করুন। সরাসরি মামলা করুন যে, প্রান্তিক মানুষের টাকা আটকে রাখা হয়েছে`, রাজ্যের শাসকদলের পাল্টা চ্যালেঞ্জ বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের।
প্রবীর চক্রবর্তী: '১০ বছরে বরাদ্দ বৃদ্ধি দয়া নয়, এটা সময়ের দাবি'। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহ-কে এবার পাল্টা জবাব দিল তৃণমূল। দলের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট, 'জনসংখ্যা বাড়ছে, তাই বরাদ্দ বৃদ্ধি স্বাভাবিক। গিরিরাজ সিংয়ের উচিত সঠিক তথ্য দেওয়া'।
আরও পড়ুন: Nursing Student Death: নার্সিং পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যুতে অভিযুক্ত প্রেমিকই!
বকেয়া আদায়ের লক্ষ্যে এবার 'মিশন দিল্লি'। রাজঘাটে তখন তৃণমূলের সত্যাগ্রহ চলছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দিকে আঙুল তোলেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী গিরিরাজ সিংহ। স্রেফ গত ১০ বছরে বরাদ্দ বৃদ্ধি নয়, কেন্দ্রীয় সরকারের নাম বদলের মানুষের ঠকানোর অভিযোগ তোলেন তিনি। সঙ্গে সিবিআই তদন্তের দাবিও।
চুপ করে থাকল না তৃণমূলও। রাজ্যে শাসকদলের পাল্টা দাবি, 'কেন্দ্র কোনও টাকা আটকে রাখেনি বলে যে দাবি করছেন মিস্টার গিরিরাজ, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। একশোর দিনের কাজে যে রাজ্যে দেশে দ্বিতীয় স্থানে থাকত, বরাদ্দ আটকানোর পর ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে সেই রাজ্য হঠাৎ করেই ১৬তম স্থান নেমে গিয়েছে'। সঙ্গে প্রশ্ন, 'সবসময় যদি তদন্তের প্রয়োজন হয়, তাহলে কেন এত মানুষকে বঞ্চনা করা হল'?
কী প্রতিক্রিয়া বিজেপির? দলের মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, 'একশোর দিনের কাজ তো একটা আইন। কেউ কাজ করতে চাইলে, করতে দিতে হবে। আদালতের দরজা খোলা আছে। আদালতে চলে যান, নথিপত্র জমা করুন। সরাসরি মামলা করুন যে, প্রান্তিক মানুষের টাকা আটকে রাখা হয়েছে। মানুষ প্রতারিত হচ্ছে, বঞ্চিত হচ্ছে, ভাতে মারার চেষ্টা হচ্ছে'।
আরও পড়ুন: Mohan Bhagwat: কলকাতায় মোহন ভাগবত, কী কর্মসূচি রয়েছে তাঁর?
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)