নিজস্ব প্রতিবেদন: লোকসভা নির্বাচনের আগে সৃজনশীলদের নিয়ে নতুন সাংস্কৃতিক সেল গঠন করল তৃণমূল। বুধবার তৃণমূল ভবনে এক বৈঠকে এই সেল চূড়ান্ত রূপ নয়। অসমে এনআরসি-সহ বিজেপি সরকারের নানা পদক্ষেপের বিরোধিতায় এই সেলের সদস্যরা  বিদ্যজ্জনদের নিয়ে সাংস্কৃতিক সেল। লোকসভা নির্বাচনের আগে এঁদেরই হাতিয়ার করে বিজেপির বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গে অসহিষ্ণুতার আবহ তৈরির অভিযোগে সোচ্চার হবে তৃণমূল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তৃণমূলের এই সাংস্কৃতিক সেলের নেতৃত্বে রয়েছেন বিধায়ক তথা মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। এছাড়া রয়েছেন নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি, শুভাপ্রসন্ন, জুন মালিয়া প্রমুখ। মূলত বিজেপির বাড়বাড়ন্ত রোখাই হবে এই সেলের মূল কাজ। বিজেপি বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িকতা ছড়ানোর অভিযোগ তুলে সোচ্চার হবেন তাঁরা। এছাড়া মুখ খুলবেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের বিরুদ্ধেও। 


এদিনের বৈঠক শেষে চিত্রশিল্পী শুভাপ্রসন্ন ভট্টাচার্য বলেন, 'যা পরিস্তিতি দাঁড়িয়েছে তাতে আর চুপ করে বসে থাকা সম্ভব নয়। সবাই একসঙ্গে পথে নামব।' অভিনেতা তথা বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী বলেন,  'যেখানে অপপ্রচার হবে সেখানেই আমরা পথে নামব।' 


নাসার উপগ্রহে ধরা পড়ল কেরলের বর্ষণের ভয়াবহতা


২০০৬ সালে সিঙুর আন্দোলনের সময় থেকে তৃণমূলে সৃজনশীলদের ঢল নামে। একে একে তত্কালীন বিরোধী দলে যোগ দেন বহু শিল্পী, লেখক ও সাহিত্যিক। অনেকে সরাসরি যোগদান না করলেও সোচ্চার হন তত্কালীন বাম সরকারের বিরুদ্ধে। যার ফলে ঘরে তোলে তৃণমূল। ২০১১ সালের নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল কংগ্রেস। 


মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম মন্ত্রিসভায় ঠাঁই হয় ব্রাত্য বসু-সহ বেশ কয়েকজন শিল্পী-সাহিত্যিকের। তার পর থেকে বরাবর সৃজনশীলদের গুরুত্ব দিয়ে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের শিল্পী-সাহিত্যিকদের সংখ্যাগুরু অংশও তৃণমূলনেত্রীকে কখনো ফেরাননি। লোকসভা নির্বাচনের আগে ফের একবার তাই তৃণমূলের হয়ে ময়দানে নামতে চলেছেন তাঁরা।