নিজস্ব প্রতিবেদন: বাংলায় লজ্জার হারের পর প্রশাসনকে ব্যতিব্যস্ত করতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রাক্তন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Alapan Bandopadhyay) বিরুদ্ধে প্রতিশোধের রাজনীতি করছে তারা। মঙ্গলবার প্রাক্তন মুখ্যসচিবের পাশে দাঁড়িয়ে এই দাবি করল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। দলের সাংসদ সৌগত রায় (Sougata Roy) বলেন,'কোভিড-১৯ সঙ্কট নিয়ে কাজ করছিলেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন কেন্দ্রীয় সরকার তাঁর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ তুলল। সৎ আমলাদের কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না।'           


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 


কেন্দ্রীয় কর্মিবর্গ ও প্রশিক্ষণ দফতর প্রধানমন্ত্রীর অধীনস্থ বলে মনে করিয়ে সৌগত (Sougata Roy) বলেন,'প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই এটা হচ্ছে। নিষ্ঠুর, হৃদয়হীন আচরণ করছে কেন্দ্র।' তৃণমূল সাংসদ আরও বলেন,'প্রধানমন্ত্রীর বিমান অবতরণের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টার অবতরণের অনুমতি দেওয়া হয়নি। সে কারণে বৈঠকে দেরি হয়েছিল তাঁর ও মুখ্যসচিবের। সেই প্রধানমন্ত্রীকে ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। উপরন্তু আলাপনের বদলির নির্দেশিকায় পদের উল্লেখ ছিল না। কেন্দ্রের একটাই উদ্দেশ্য রাজ্য সরকারের অফিসারদের বিচলিত করা। যাতে তাঁরা স্বাধীনভাবে কাজ না করতে পারেন। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে দুর্বল করে দেওয়া হচ্ছে। আলাপন কী করবেন, সেটা তাঁর সিদ্ধান্ত। আমরা দলের তরফে প্রতিবাদ জানালাম।' 


বাঙালি অফিসারকে অপদস্থ করা হলে বাংলার মানুষ মেনে নেবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সৌগত (Sougata Roy)। তাঁর কথায়,'পশ্চিমবঙ্গের মানুষ দেখছে, সৎ, দক্ষ বাঙালি অফিসারকে অপমানের চেষ্টা করছে কেন্দ্র। বাইরে থেকে বাঙালি অফিসারকে চাপ দেওয়ার চেষ্টা সহ্য করবে না বাংলার মানুষ।'        



অবসরের পর কীভাবে আলাপনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করা হতে পারে, সেই প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় (Sukhendu Sekhar Roy)। তাঁর কথায়,'বাংলার প্রশাসনকে দুর্বল করাই ওদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য। অবসরের পর আর্থিক বেনিয়মের অভিযোগ থাকলেই বিভাগীয় তদন্ত করা যায়। চিঠিতে উল্লিখিত ধারাগুলি কর্মরত আইএএস অফিসারদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। অবসরপ্রাপ্তদের ক্ষেত্রে খাটে না। যত দ্রুত সম্ভব নোংরামি বন্ধ হোক।'


অল ইন্ডিয়া সার্ভিসের (শৃঙ্খলা ও আবেদন) ৮ নম্বর রুল অনুযায়ী আলাপনের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ৩০ দিনের মধ্যে আত্মপক্ষসমর্থন করতে হবে প্রাক্তন মুখ্যসচিবকে। নির্ধারিত সময়ে লিখিত জবাব বা সশরীরে উপস্থিত না হলে একতরফা পদক্ষেপ করতে পারে সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্তৃপক্ষ। প্রাক্তন মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধে কেন্দ্রের অভিযোগ,'প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে অনুপস্থিত থেকে সরকারি কর্মী হিসেবে বিপযর্য় মোকাবিলা আইনের ৫১ (বি) লঙ্ঘন করেছেন।'     


আরও পড়ুন- কেন নিরাপত্তা প্রত্যাহার করল রাজ্য, জানতে চেয়ে হাইকোর্টে মামলা Suvendu-র


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)