নিজস্ব প্রতিবেদন:  সিঙ্গুর অনশনের কথা উল্লেখ করে এবার আন্দোলনকারীদের পাশে থাকার বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হরিয়ানায় গিয়ে কৃষকদের বিভিন্ন গোষ্ঠীর সঙ্গে বৈঠক রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েনের। কলকাতায় দলের কার্যালয়ে শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলন করলেন আর এক সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার। বললেন, 'বহুজাতিক সংস্থার কাছে দেশকে বিক্রি করার চক্রান্ত চলছে। নয়া এই আইন যদি কৃষকদের উপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়, তাহলে সর্বতোভাবে বিরোধিতা করা হবে।' কৃষকদের আন্দোলনকে হাতিয়ার করে কেন্দ্রের বিরোধিতার সুর চড়াল তৃণমূল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: রোজগার বন্ধ, অবসাদে ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে অস্বাভাবিক মৃত্যু বৃদ্ধের


গতকাল দিল্লির বিজ্ঞানভবনে সাত ঘণ্টার ম্যারাথন বৈঠক নিষ্ফলা। নয়া ৩ কৃষি আইন বাতিল করতে হবে। তাঁদের পুরনো দাবিতে এখনও অনড় কৃষকরা। এমনকী, যাঁরা বৈঠকে যোগ দিতে এসেছিলেন, তাঁরা সরকারের দেওয়া খবর মুখে তোলেননি। পেট ভরিয়েছেন নিজেদের আনা খাবারেই। তবে এরইমধ্যে কৃষিমন্ত্রী আশ্বাস দেন, 'ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে হাত পড়বে না। আপনারা নিশ্চিন্তে থাকুন।' কিন্তু তাতেও চিঁড়ে ভেজেনি। সূত্রের খবর, বৈঠকে কৃষিমন্ত্রী বলেন, সরকারের কোনও ইগো নেই। কৃষি বিল নিয়ে আলোচনা চলবে। তবে কৃষি আইন বাতিলের দাবি মানা সম্ভব নয়। অন্যদিকে আন্দোলনকারী কৃষকদের দাবি ছিল, সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডেকে কৃষি আইন বাতিল করা হোক। এই অচলাবস্থার মাঝে শুক্রবার সকালে টুইট করে কৃষকদের আন্দোলনকে সমর্থন জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইটে সিঙ্গুরে কৃষি জমি অধিগ্রহণের প্রতিবাদে নিজের অনশনের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।


 



এদিকে দলনেত্রীর নির্দেশে আন্দোলনকারীদের পাশে থাকতে ইতিমধ্যেই দিল্লি-হরিয়ানা সীমান্তে পৌঁছে গিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন। এদিন কৃষকদের সঙ্গে চার ঘণ্টা ধরে বৈঠকও করেন। সূত্রের খবর, ফোনে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও। তৃণমূল নেত্রীর স্পষ্ট বার্তা, নয়া কৃষি বিরোধী আন্দোলনে তিনি ও তাঁর দল আন্দোলনকারীদের পাশে থাকবে।


 



 


এদিন কলকাতায় সাংবাদিক সম্মেলনে সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার বলেন, 'কৃষি রাজ্যের বিষয়। সমস্ত ক্ষমতা কুক্ষিগত চাইছে কেন্দ্র। কার এই স্বার্থে এই আইন আনা হল? এই আইন লাগু হলে দেশে ফের দুর্ভিক্ষ দেখা দেবে।'