কমলিকা সেনগুপ্ত: বিধানসভা ভোটের আগে বাংলা আবেগে শান দিতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এবার জয়েন্টের প্রবেশিকায় পরীক্ষা আঞ্চলিক ভাষায় কেন হবে না, সেনিয়ে প্রশ্ন তুললেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে বিজেপির বাড়বাড়ন্তে জমে উঠেছে হিন্দুত্বের রাজনীতি। আর সেই রাজনীতির মোকাবিলায় তৃণমূল শান দিচ্ছে বাঙালি অস্ত্রে। বাংলা ও বাঙালির অধিকার নিয়েই এবার সরব হতে চাইছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল।        


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


মঙ্গলবার বিকেলে অভিষেক টুইট করেন,''ভারতের সংবিধানে সকলের সমান অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। তাহলে কেন জয়েন্টের প্রবেশিকায় পরীক্ষায় ইংরেজি, হিন্দি ও গুজরাটি থাকবে? ২০২০ সালে জয়েন্টে বাঙালি, ওডিয়া, কানাড়া, তেলেগু, তামিল, মরাঠি ভাষাকেও সামিল করতে হবে। যে কোনও ধরনের ভাষা বৈষম্য সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৪ বিরোধী।'' কেন জয়েন্টের প্রশ্নপত্র সবকটি আঞ্চলিক ভাষায় হবে না, এনিয়ে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে সরব হতে চলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। 



লোকসভা ভোটের শেষ দফার আগে বাঙালি জাতীয়তাবাদ উস্কে দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অমিত শাহের রোড শো চলাকালীন কলেজস্ট্রিটে বিদ্যাসাগর কলেজে ঈশ্বরচন্দ্রের মূর্তি ভাঙা নিয়ে শোরগোল তুলেছিল তৃণমূল। তারা অভিযোগ করেছিল, বহিরাগতদের এনে বাঙালি সংস্কৃতির উপরে আগ্রাসন চালাতে চাইছে বিজেপি। বিজেপিকে অবাঙালিদের দল তকমা দিয়ে কোণঠাসা করার কৌশলও নেয় তৃণমূল। কলকাতার রাস্তায় বিদ্বজ্জনেদের নিয়ে পদযাত্রা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্লোগান তোলেন, জয় বাংলা। 



লোকসভা ভোটে তৃণমূল ধাক্কা খাওয়ার পর 'জয় বাংলা'ই হয়ে উঠেছে তৃণমূলের প্রত্যাবর্তনমন্ত্র। তা কাজও করছে বলে খবর। সেই রেশ ধরে রাখতে চাইছে তৃণমূল। ছটপুজোয় রবীন্দ্রসরোবরের দরজার তালা ভাঙা নিয়েও নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মনে করিয়ে দিয়েছেন, উত্সবের নামে গুন্ডামি করা অনুচিত। এবার লোকসভায় ভাষা নিয়ে আন্দোলনে নামতে চলেছে তৃণমূল। রাজনৈতিক মহলের মতে, লক্ষ্য ২০২১। আর সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে বাঙালিয়ানাই হাতিয়ার তৃণমূলের। বিজেপির গায়ে সেঁটে দিতে উত্তর ভারতীয়দের দলের তকমা। উল্লেখ্য, তৃণমূলের সেঁটে দেওয়া তকমা ঝেড়ে ফেলার কোনও চেষ্টাই করেনি বিজেপি। অনেকেই মনে করছেন, এটাই হয়তো শেষ ল্যাপে বিজেপিকে অনেকটা পিছিয়ে দেবে। বলে রাখি, কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় লোকসভায় একটাও আসন পায়নি গেরুয়া শিবির। 


আরও পড়ুন- লাল টকটকে আপেল, কাশ্মীরের ৫ শ্রমিক হত্যায় প্রশ্ন তুলে কবিতা লিখলেন মমতা