নিজস্ব প্রতিবেদন: ফেসবুকে একটা পোস্ট। যার প্রথম লাইনে লেখা 'চললাম, অলবিদা'। সেই পোস্টকে ঘিরেই বর্তমানে তোলপাড় জাতীয় রাজনীতি। পোস্টটি করেছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo)। ঘোষণা করেছেন রাজনীতি ছাড়ছেন তিনি। সাংসদ পদ থেকেও পদত্যাগ করছেন। বাবুলের এই পোস্টকে ঘিরে তুঙ্গে জল্পনা। এসবের মাঝে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে ফের কটাক্ষ করলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সূত্রের খবর, ফোনে বাবুল সুপ্রিয়র সঙ্গে কথা বলেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা (J P Nadda)। তাঁকে সাংসদ পদ না ছাড়তে অনুরোধ করেছেন তিনি। সমস্যা সমাধানের আশ্বাসও দিয়েছেন। তাহলে কি এখনও নিজের অবস্থানে অনড় থাকবেন আসানসোলের সাংসদ? সে প্রশ্ন ঘিরে যখন ধোঁয়াশা রয়েছে, তখন টুইটারে বাবুলকে আক্রমণ শানালেন কুণাল ঘোষ। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে কটাক্ষ করে তিনি লেখেন, 'কী বাবুল, গল্প তৈরি তো? মোদিজি, নাড্ডিজিরা বললেন না ছাড়তে...স্পিকার চিঠি নিতে চাইলেন না...চিঠিতে টেকনিকাল ভুল রয়ে গেল...চিত্রনাট্য তৈরি? আবার বলছি, নাটক। কাঁচা হাতে লেখা নাটক। হয় ইস্তফা, নাহলে নাটক স্বীকার করে পোস্ট করলে ভালো হয়। জলট্যাঙ্কের উপর ধর্মেন্দ্র...' । 


আরও পড়ুন: Gopal Chandra Bhattacharya: বাঙালির তন্নিষ্ঠ বিজ্ঞানসাধনার অন্যতম বিশিষ্ট মুখ


আরও পড়ুন: Madan Mitra: Modi বিরোধিতায় 'চাওয়ালা' সাজলেন মদন মিত্র


একই ভাষায় শনিবারও বাবুলকে তোপ দাগেন কুণাল। স্পিকারের কাছে ইস্তফা না দিয়ে ফেসবুকে নাটক করছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, দাবি করেন তিনি। কটাক্ষের সুরে বলেন, 'শোলেতে জলের ট্যাঙ্কে উঠে ধর্মেন্দ্রর আত্মহত্যার হুমকির মত।' কেবল কুণাল নয়, রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষও তাঁকে কটাক্ষ করেন। দু'জনকেই পাল্টা দেন বাবুল। তাঁদের 'মন্তব্য'র স্ক্রিনশট তুলে দিয়ে ফেসবুকে বাবুল লেখেন, "পড়লাম আপনাদের কমেন্টগুলি | যে যার নিজের মতো করে দেখেছেন, বুঝেছেন, সমর্থন করেছেন, তীব্র বিরোধিতা করেছেন, প্রশ্ন করেছেন, কৈফিয়ত চেয়েছেন, কিছু মানুষ নিজেদের রুচি অনুযায়ী 'ভাষার' ব্যবহার করেছেন - সবটাই শিরধার্য্য | কিন্তু আপনাদের প্রশ্নের জবাব আমি কাজেও তো দিতে পারি | তার জন্য মন্ত্রী বা সাংসদ থাকার কি দরকার।" এরপরই বাবুলের কটাক্ষ, স্ক্রিনশটের প্রথম উক্তিটির 'সৌজন্য' শ্রী কুণাল ঘোষ আর দ্বিতীয়টির, শ্রীমান দিলীপ ঘোষ.." ।