ওয়েব ডেস্ক: আজই শেষ হচ্ছে শ্যামল সেন কমিশনের মেয়াদ। সরকার কমিশনের মেয়াদ আর বাড়াবে না বলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে স্বরাষ্ট্র দফতর সূত্রে খবর। অর্থ দফতর কমিশন চালানোর জন্য নতুন করে অর্থ বরাদ্দ না করায় কমিশনের মেয়াদবৃদ্ধি সম্ভব নয় বলেই জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র দফতর। অন্যদিকে আজই কমিশনের মেয়াদবৃদ্ধির দাবিতে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করছেন প্রতারিত আমানতকারীরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নতুন করে আর মেয়াদবৃদ্ধি করা হবে না শ্যামল সেন কমিশনের। মঙ্গলবার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বরাষ্ট্র দফতর। স্বরাষ্ট্র দফতর সূত্রে খবর শ্যামল সেন কমিশনের মূল উদ্দেশ্য ছিল সারদার  বাজেয়াপ্ত হওয়া  সম্পত্তি বিক্রি করে প্রতারিত আমানতকারীদের টাকা ফেরত দেওয়া। শ্যামল সেন কমিশনের হিসাব অনুযায়ী সারদাকাণ্ডে প্রতারিত হয়েছে সতেরো লক্ষ মানুষ। এর মধ্যে যাঁরা দশ হাজার টাকার কম আমানত করেছেন এমন পাঁচ লক্ষ মানুষকে ইতিমধ্যেই টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে কমিশন।


স্বরাষ্ট্র দফতর সূত্রের খবর কমিশনের মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য নতুন করে টাকা বরাদ্দ করছে না অর্থ দফতর। ফলে কমিশনের কাজ চালিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। এছাড়াও যেহেতু সারদাকাণ্ডের তদন্তভার এখন সিবিআই এবং ইডির হাতে তাই টাকা ফেরত দেওয়ার দায় এখন তাঁর সরকারের নয় বলেই দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।



এছাড়াও স্বরাষ্ট্র দফতর সূত্রে খবর, শ্যামল সেন কমিশনে নতুন করে এখন আর প্রতারিত আমানতকারীদের নাম নথিভুক্ত হচ্ছে না।  কার্যত এখন বিক্ষোভ দেখানোর জায়গা হয়েছে কমিশনের অফিস। তাই কমিশনের মেয়াদ বৃদ্ধির যৌক্তিকতা নেই বলে মনে করছে স্বরাষ্ট্র দফতর।
অন্যদিকে কমিশনের মেয়াদবৃদ্ধির দাবিতে  বুধবারই হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করছেন প্রতারিত আমানতকারীরা। তাঁদের দাবি শ্যামল সেন কমিশনে সারদা ছাড়াও আরও একশো আটটি চিটফান্ডের বিচার চলছে কমিশনে। সেই বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত কমিশনের মেয়াদ বৃদ্ধির দাবিতেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছেন আমানতকারীরা।