নিজস্ব প্রতিবেদন: শুরু থেকেই গড়িমসি ছিল, টালিগঞ্জ কাণ্ডে পুলিস 'আক্রান্ত', স্বীকার করতেই লেগে গিয়েছিল ৩ দিন। ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করতেও সময় গড়িয়েছিল ১১ ঘণ্টা। শেষমেষ গোটা বিষয়টি কার্যত ধামাচাপাই পড়ে গেল। এনআরএসের চিকিৎসক নিগ্রহের ঘটনার পর টালিগঞ্জের পুলিসকে মারধরের ঘটনাতেও জামিন পেয়ে গেল অভিযুক্তরা। অভিযোগ, ঘটনার তদন্তের অগ্রগতি না হওয়াতেই এই জামিন বলে মনে করছে একাংশ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মঙ্গলবার সকালে আলিপুর আদালতে তোলা হয় টালিগঞ্জের পুলিস নিগ্রহের ঘটনার অন্যতম অভিযুক্ত পুতুল নস্করের ভাইপো আকাশ, রণজয়-সহ ৫ অভিযুক্তকে। সেখানেই জামিন পেয়ে যান অভিযুক্তরা। উল্লেখ্য, এর আগেই শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে জামিন পেয়ে যান মূল অভিযুক্ত পুতুল নস্কর। 



উল্লেখ্য, মত্ত অবস্থায় বাইক চালানোর অপরাধে এক যুবককে আটকের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ১১ অগাস্ট রাতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে টালিগঞ্জ থানা। চেতলার বাসিন্দা রণজয় হালদার নামে এক যুবককে মত্ত অবস্থায় বাইক চালানোর অপরাধে আটক করা হয়। অভিযোগ, সেই খবর পেয়েই থানায় এসে হাজির হন যুবকের পরিবার ও প্রতিবেশীরা। থানার সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। কয়েকজন থানায় ঢুকে গিয়ে টেবিল চাপড়ে পুলিসকে শাসান। বাধা দিতে গেলে আক্রান্ত হন এক কনস্টেবল। তাঁকেও মারধর করা হয়। 


থানায় ভাঙচুরের সেই ঘটনার ১১ ঘণ্টার পর স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা দায়ের  করে পুলিস। টালিগঞ্জ থানায় ঢুকে হামলার ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় মূল অভিযুক্ত পুতুল নস্করকে। এরপরে গ্রেফতার হয় আকাশ, রণজয়-সহ বাকিরা। পুলিস নিগ্রহের ঘটনায় চরম ক্ষুব্ধ হন কমিশনার অনুজ শর্মা। কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে সরিয়ে দেওয়া হল টালিগঞ্জের ওসিকে।


আরও পড়ুন: ফের সংসার করার জন্য পুরনো স্ত্রীকেই জোরাজুরি, না মানায় টোটোর মধ্যেই কোপ মহিলাকে


মঙ্গলবার অভিযুক্তদের জামিনের ঘটনায় ফের একবার কাঠগড়ায় পুলিসের ভূমিকা। তবে কি পুলিস নিগ্রহের ঘটনা প্রমাণই করতে পারলেন না তারা? শুধুমাত্র পুলিসের গাফিলতিতেই কি একের পর এক অভিযুক্ত ছাড়া পেয়ে গেল? এই দায় কার? বিভিন্ন মহলে ঘুরছে সেই প্রশ্ন।