ওয়েব ডেস্ক: ভোটগ্রহণ চলছে উত্তর কলকাতার ৭ আসনেও। যার মধ্যে রয়েছে কাশীপুর-বেলগাছিয়া, মানিকতলা, শ্যামপুকুর, জোড়াসাঁকো, বেলেঘাটা, এন্টালি ও চৌরঙ্গি বিধানসভা কেন্দ্রে। বুথে বিরোধী এজেন্ট বসতে না দেওয়ার অভিযোগ। তাকে ঘিরে প্রকাশ্যে বচসায় জড়ালেন এন্টালির দুই প্রার্থী। বামপ্রার্থী দেবেশ দাস এবং তৃণমূলের স্বর্ণকমল সাহা। ক্রিস্টোফার রোডের কিরণচন্দ্র স্কুলের একাধিক বুথে সিপিএমের এজেন্ট বসতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ দেবেশ দাসের। সেই অভিযোগ অস্বীকার করেন স্বর্ণকমল সাহা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

একনজরে দেখে নেওয়া যাক আজ নির্বাচনে দুপুর ১টা পর্যন্ত কলকাতার সবচেয়ে বড় ৫টি খবর।


বেলেঘাটায় ভুয়ো ভোটার- বেলেঘাটায় ধরা পড়ল দুই ভুয়ো ভোটার। রাসমণি বাজারের ষোলো নম্বর বস্তি এলাকার ঘটনা। অভিযোগ, পঁয়ত্রিশ নম্বর ওয়ার্ডে পুরসভার প্রাইমারি স্কুলে স্কুলে হাওড়ার ভোটার কার্ড নিয়ে ভোট দিতে বুথে ঢুকেছিলেন একজন। তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিস। ওই বুথ থেকেই আরও এক ভুয়ো ভোটারকে গ্রেফতার করা হয়। এলাকায় এক গলি থেকে চারজন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকেও আটক করা হয়েছে। পুলিস সূত্রে খবর, বেলেঘাটা এলাকায় সন্দেহজনক গতিবিধির জন্য মোট সাতজনকে আটক করা হয়েছে।



বেলেঘাটার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে ভোট ম্যানেজের অভিযোগ স্থানীয় তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। গুরুদাস কলেজে ভোটারদের লাইন কন্ট্রোল করতে দেখা গেল সুশান্ত সাহা ওরফে হাবুকে। তিনি এলাকায় তৃণমূলের যুব সভাপতি হিসেবে পরিচিত। অভিযোগ, সকাল থেকেই বুথে দলবল নিয়ে হাজির হয়ে যান সুশান্ত। পুলিস বারণ করা সত্ত্বেও, ভোটারদের লাইন কন্ট্রোল করার কাজ থেকে সরে আসেননি তিনি। এমনকি নিয়মের তোয়াক্কা না করে ঢুকে পড়েন বুথের ভিতরে। কলেজ বিল্ডিংয়ের দোতলাতেও অবাধে ঘুরে বেড়াতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।


বেলেঘাটায় সিপিএম এজেন্টকে বুথে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল। রাজা মণীন্দ্র রোডের ২৫১ এবং ২৫২ নম্বর বুথে সিপিএম এজেন্টকে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগ শাসক দলের কর্মীদের বিরুদ্ধে। একজনকে আটক করেছে পুলিস।


বাম এজেন্টদের বুথে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বেলেঘাটার ৪টি বুথে এই ঘটনা বলে অভিযোগ তুলেছে সিপিএম।


বেলেঘাটার বুথে নেই বিরোধী এজেন্ট- পাশাপাশি দুটি স্কুল। একটির বুথেও নেই কোনও বিরোধী এজেন্ট। এমনই ছবি ধরা পড়ল বেলেঘাটার দেশবন্ধু বয়েজ ও গার্লস স্কুল। সকাল থেকেই বিরোধী এজেন্টদের বুথে বসতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলে গিয়ে চব্বিশ ঘণ্টার প্রতিনিধি দেখলেন দুটি স্কুলের বুথে শাসক দলের এজেন্ট ছাড়া কোনও এজেন্ট নেই।


নির্দল প্রার্থী এজেন্ট সেজে বসেছিলেন তৃণমূল কর্মী। অভিযোগ পেয়ে তাঁকে বের করে দিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। বেলেঘাটার গুরুদাস কলেজের বুথের ঘটনা। অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মীর নাম সিদ্ধার্থ দাস।


জোড়াসাঁকোর অবাঞ্ছিতদের এলাকা ছাড়া পুলিসের- ভোটকেন্দ্রের আসপাশের এলাকা থেকে অবাঞ্ছিত লোকেদের সরিয়ে দিল পুলিস। জোড়াসাঁকোর মদনমোহন বর্মণ স্ট্রিটের ঘটনা। স্পেশাল ইনটারভেনশন টিম নিয়ে এলাকায় টহল দিচ্ছিলেন DCDD টু নগেন্দ্র ত্রিপাঠি। এলাকায় বেশ কয়েজন সন্দেহজনক লোকেদেরে গতিবিধি দেখতে পান তিনি। তাঁদের ভোটার কার্ড দেখতে চান পুলিস কর্তা। ভোটার কার্ড দেখাতে না পারায় বহিরাগতদের মারধর করে এলাকা থেকে সরিয়ে দেয় পুলিস। 



বাম এজেন্টকে বুথে বসতে দিতে বাধা। জোড়াসাঁকোর পাটোয়ার বাগানের ঘটনা। সেন্ট পলস ও ভিক্টোরিয়া এই দুই স্কুলের বুথে বাম এজেন্টকে বসতে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।


RJD ও তৃণমূল কর্মীদের বচসায় উত্তেজনা ছড়াল জোড়াসাঁকোর বৈঠকখানা রোডে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্যাম্প অফিস ভাঙচুর ও কর্মীদের মারধরের অভিযোগ তুলেছে RJD। তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ, RJD কর্মীরা নির্বাচনী আচরণবিধি ভেঙে দলীয় প্রতীক লাগানো ছাতা মাথায় ঘুরছেন। ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে কেন্দ্রীয় বাহিনী।


জোড়াসাঁকোয় রাহুল সিনহাকে ঘিরে বিক্ষোভ-



ভোটে কারচুপির অভিযোগকে কেন্দ্র করে বুথের সামনেই তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীদের বচসা। আর অশান্তি থামানো তো দূরের কথা কাগজে মুখ লুকলো পুলিস। ভিক্টোরিয়া কলেজের বুথে অনিয়মের অভিযোগ পেয়ে সকালে সেখানে যান জোড়াসাঁকোর বিজেপি প্রার্থী রাহুল সিনহা। তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে ভোট প্রভাবিত করার অভিযোগ তোলেন তিনি। রাহুল সিনহাকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল প্রার্থীরা। তাঁদের সঙ্গে বচসা শুরু হয় বিজেপি কর্মীদের। আর পরিস্থিতি যখন ক্রমশ উত্তপ্ত হচ্ছে, তখনই পুলিসকে দেখা যায় মুখ লুকতো।


 


কাশীপুর-বেলগাছিয়ায় বচসায় বামপ্রার্থী কণীনিকা-



নিজে বুথে নিয়ে গিয়ে এজেন্টদের বসালেন বামপ্রার্থী। কাশীপুর-বেলগাছিয়া কেন্দ্রের সিআইটি গার্লস স্কুলের ঘটনা। একশো আঠান্ন থেকে একশো তেষট্টি। এই পাঁচটি বুথে বাম এজেন্টকে বসতে বাধা দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। পরে বামপ্রার্থী কণীনিকা ঘোষ নিজে গিয়ে তিনটি বুথে এজেন্ট বসান। এন্টালির বুথেও নিজে গিয়ে এজেন্ট বসান বামপ্রার্থী দেবেশ দাস।


অনুব্রত মডেলেই নজরবন্দি কাশীপুরের দাপুটে নেতা। স্বপন চক্রবর্তী শাসক দলের কৌশলী ভোট ম্যানেজার হিসেবে পরিচিত। বলা যায় কলকাতার অনুব্রত মণ্ডল। অনুব্রত ফর্মুলাতেই তাঁকে নিয়ন্ত্রিত করল নির্বাচন কমিশন। কাশীপুরের কাশীনাথ দত্ত রোডে তাঁর বাড়ি গিয়ে দেখা গেল, ভোটের দিনেও চার দেওয়ালেই আটকে রয়েছেন নেতা।


বুথের সামনে অবাঞ্ছিতদের আনাগোণা। সন্দেহজনক ব্যক্তিদের ভিড়। ভোটে অনিয়ম। এই নিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে বচসায় জড়ালেন কাশীপুর-বেলগাছিয়া কেন্দ্রের বামপ্রার্থী কণীনিকা ঘোষ। বেলেঘাটা এক নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা। তিরিশ, একত্রিশ ও বত্রিশ নম্বর বুথে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ বামপ্রার্থীর।


ভোটের দিন কমিশনের নজরবন্দি কাশীপুরের দাপুটে তৃণমূল নেতা আনোয়ার খান। কাশীপুর উদ্যানবাটির উল্টোদিকে কাশীপুর রোড। সেখানেই তাঁর বাড়িতে। নিজের এলাকাতেই নজরবন্দি করে রাখা হয়েছে তাঁকে।