নিজস্ব প্রতিবেদন: পিছনের পুকুরে দড়ি বেঁধে ফেলে দেওয়া হয়েছিল সাইকেল। আর বলা হচ্ছিল চুরি গিয়েছে। আততায়ীরা সাইকেল চুরি করতে বাধা পেয়েই খুন করেছে । তপসিয়ার যুবক অভিজিত্ রজকের রহস্যমৃত্যুর তদন্তে নেমে পুলিসের হাতে উঠে আসে অন্য চাঞ্চল্যকর তথ্য। উঠে আসে পারিবারিক সম্পত্তি ও বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কথা।

COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গত মঙ্গলবার উদ্ধার হয় অভিজিতের রক্তাক্ত দেহ। ঘটনার দিন মৃতের কাকিমা মৌসুমী পুলিসকে জানিয়েছিলেন, “আমিই প্রথম ঘুম থেকে উঠি, টয়লেট যাব বলে। দেখি ঘরের মেন গেট খোলা। দুটো সাইকেল নেই। এরপর আমি আমার স্বামী চন্দন রজককে ঘুম থেকে ডাকি। তারপর আমরা অভিজিতের ঘরে গিয়ে দেখি, চাদর মুড়ি দিয়ে শুয়ে আছে সে। ডাকলেও সাড়া দেয়না। চাদর সরাতেই দেখি রক্তাক্ত অবস্থায় বিছানায় পড়ে রয়েছে অভিজিৎ।”

কিন্তু তদন্তে নেমে পুলিসের দুটি বিষয় নিয়ে সন্দেহ হয়। যে ঘর থেকে অভিজিতের দেহ উদ্ধার হয়, তার পাশের ঘরেই ছিলেন পরিবারের অনান্য সদস্যরা। খুনের সময় তাঁরা কেন কিছু টের পেলেন না? দ্বিতীয়ত, মৃতের বৌদির বয়ান। দুঁদে পুলিস কর্তারা বুঝে যান, সাইকেল চুরি বিষয়টি সামনে রেখে তাঁদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চলছে।


গত শুক্রবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা অভিজিতের বাড়ির পিছনের পুকুরে মাছ ধরছিলেন। সেই সময় তাঁদের ছিপ কিছু একটাতে আটকে যায়। ওই যুবকেরা জলে নেমে দেখে সাইকেল পড়ে রয়েছে পুকুরের মধ্যে।


এরপরই খবর যায় তপসিয়া থানায়। ঘটনাস্থলে যান তদন্তকারীরা। পুকুরে নামানো হয় ডুবুরি। এরপরই সাইকেলটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

আরও পড়ুন: আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত কদম গাছের ডাল ভেঙে পড়ল বাড়ির ভিতর, বেঘোরে প্রাণ গেল মহিলার



পরিবারের সদস্যদের জেরা করতে শুরু করে পুলিস। তারপর পুলিসের জেরার মুখে ভেঙে পড়েন অভিজিতের বৌদি। উঠে আসে সত্য। ঘটনায় মৃতের কাকা ও বৌদিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।


সম্পত্তি আর বৌদির সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক- এই দুয়ের কারণেই পূর্ব পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে বলে পুলিস জানতে পেরেছে।  তবে এই ঘটনায় আর কেউ জড়িত রয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।