বনধে সর্বাত্মক `না`, সাধারণ ধর্মঘটে অচেনা বাংলা
`না` কে না বলল বাংলা। প্রায় সবই চলল। সবই খুলল। প্রায় সকলেই বেরোলেন। আর তাতেই অচেনা হয়ে গেল বনধের চেনা বাংলা।
ওয়েব ডেস্ক : 'না' কে না বলল বাংলা। প্রায় সবই চলল। সবই খুলল। প্রায় সকলেই বেরোলেন। আর তাতেই অচেনা হয়ে গেল বনধের চেনা বাংলা।
বিপ্লবকে বারবার আপন করে নিয়েছে এই ভূমি। গান্ধীর অরন্ধ্রণে থমকে গিয়েছে চাকা। তেভাগার হরতালে, ফুলও কুঁড়ি হয়ে ফোটেনি। ষাটের খাদ্য আন্দোলন, সত্তরের লাল দিনগুলি, তিন দশকের বাম শাসন। তারপর সিঙ্গুর নন্দীগ্রাম। বাংলায় বারবার সাড়া ফেলেছে বনধ।
কিন্তু এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, কড়া হাতে ধর্মঘটের মোকাবিলা করবে প্রশাসন। কোনওভাবেই বনধ হতে দেওয়া যাবে না। এমনই কনফিডেন্স যে বন্ধ শুরু না হতেই শহর ছাড়লেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে প্রশাসনিক প্রধানের অনুপস্থিতিতেও রাজ্য প্রশাসনকে বিশেষ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হল না। জীবনের সুরে কোনও ছন্দপতন নেই।
আরও পড়ুন, আজকের ধর্মঘটে রাজ্য দেখল গান্ধীগিরি বনাম দাদাগিরি!
ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বনধ বিরোধী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সরকারি কর্মীদের বেতন কাটার ফতোয়া। বাস মালিকদের আশ্বাস। দোকানিদের হুঁশিয়ারি। এবারও সবই ছিল। তবে কিছুরই প্রয়োজন হল না। ট্রাফিকের চাপ একটু হাল্কা। কিন্তু, দোকান খুলেছে। বাজার খুলেছে। অফিসে হাজিরাও সাধারণ দিনের তুলনায় ভাল। তবে এটা স্বতঃস্ফূর্ততা নয়, জোর করে চাপানো। কেউ কেউ অবশ্য এমনটাও বললেন।
প্রতিবারই বনধ বানচাল করতে পথে নামে শাসক দল। এবারও নেমেছিল। কিন্তু, এদিনের ছবিটা অন্যরকম। দমদমে গোলাপ বিলোলেন মন্ত্রী। হাওড়াতেও গোপাল বিলি। মেদিনীপুর শহরের বড়বাজারে জোড়হস্ত শাসকদলের নেতারা। সাধারণ ধর্মঘটে, সাধারণের যোগদান খুবই ক্ষীণ। যদিও, এ নিয়েও কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না বিরোধীরা।
সিঙ্গুর নিয়ে উত্সবের আবহে সর্বাত্মক বনধের আশা ধর্মঘটীরাও হয়তো করেননি। তা সত্ত্বেও কিছুটা অন্য ছবি দেখার আশা ছিল। কিন্তু, বনধের দিনে বনধ ছাড়া প্রায় সবই দেখা গেল।