ওয়েব ডেস্ক : নিম্নচাপের জেরে রাতভর শহরজুড়ে বৃষ্টি। বেশ কয়েকটি জায়গায় জল নামতে শুরু করলেও, এখনও জলমগ্ন অনেক জায়গা। পুরসভার কর্মীরা রাস্তার ম্যানহোলের মুখগুলো পরিষ্কারের চেষ্টা করছেন। কলেজ স্ট্রিট, ঠনঠনিয়া, বিধানসরণি, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, শরত্ বোস রোড, বাগুইআটি, চিনারপার্ক এলাকায় জল এখনও নামেনি। ভিক্টোরিয়া এবং রেসকোর্সের মাঝের রাস্তাতেও জল। রাস্তায় জল জমে থাকায় ট্রাফিক চলছে ধীরগতিতে। সমস্যায় অফিসযাত্রী থেকে স্কুলপড়ুয়ারা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জল থই থই বেহালার ঠাকুরপুকুর অঞ্চলও। জল জমেছে ১২৫, ১২৮ ও ১২৯ নম্বর ওয়ার্ডের সেনপল্লি, অরবিন্দ পল্লি, বেগোর খাল, ব্রহ্মসমাজ রোড সহ বেশ কিছু জায়গায়। জলমগ্ন হওয়ায় ই এম বাইপাসের বিভিন্ন জায়গাতেও যান চলাচল বাধা পাচ্ছে। জল জমে রয়েছে দক্ষিণ কলকাতার গড়িয়া ও যাদবপুর ও বেহালার কিছু অংশে। গড়িয়াহাটে রাস্তার ওপর একটা বড় গাছ ভেঙে পড়ে। ভেঙে পড়েছে একটি ল্যাম্প পোস্টও। গাছ পড়ে যাওয়ায় রাসবিহারী এ্যাভিনিউয়ে দুটি লেনে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।


অন্যদিকে, শহরতলির অবস্থাও তথৈবচ। শহরের সঙ্গে যোগাযোগের প্রধান লাইফলাইন ট্রেন পরিষেবা ব্যাহত লাইনে জল দাঁড়িয়ে যাওয়ায়। স্টেশনগুলিতে ঘণ্টা দুই-আড়াইয়ের উপর দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে দূরপাল্লার ট্রেনগুলিকে। আধঘণ্টার দূরত্ব অতিক্রম করতে সময় লাগছে দেড় ঘণ্টা সময়। বহু মানুষকে দেখা যাচ্ছে ট্রেন থেকে নেমে লাইন ধরে হাঁটতে। কারশেডে জল জমে যাওয়ায় ট্রেন বাতিলের সঙ্গে সঙ্গে সময়সূচিও পরিবর্তন করা হয়েছে। স্টিল ও পুরুলিয়া এক্সপ্রেস আজ হাওড়ার পরিবর্তে ছাড়বে সাঁতরাগাছি স্টেশন থেকে। এরপর যদি আরও বৃষ্টি হয়, তাহলে দুর্ভোগের ছবিটা বাড়বে বই কমবে না। আরও পড়ুন, জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়ানো হল দামোদর ব্যারেজে, নিচু এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা